বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘অসীম বিনিয়োগ সম্ভাবনা’ জানাতে আন্তর্জাতিক সম্মেলন নভেম্বরে

  •    
  • ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৯:৫৫

বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠিত হওয়ার পর এই প্রথম দেশের মাটিতে এ ধরনের আন্তর্জাতিক সম্মেলন হতে যাচ্ছে। ২০২০ সালে এ সামিট হওয়ার কথা থাকলেও করোনাভাইরাস মহামারির কারণে তা পিছিয়ে যায়।

সাড়ে পাঁচ বছর পর আবারও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সম্মেলন আয়োজন করতে যাচ্ছে সরকার। আগামী ২৮ ও ২৯ নভেম্বর এই সম্মেলন হবে। এবারের আয়োজনের প্রতিপাদ্য, ‘বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা, যেখানে রয়েছে অসীম বিনিয়োগের সম্ভাবনা’।

বাংলাদেশে বিনিয়োগ পরিবেশ এবং উদ্যোক্তারা কী ধরনের সুযোগ-সুবিধা পান, সেটি তুলে ধরা হবে সম্মেলনে। এ ছাড়া, করোনা মহামারির মধ্যেও বাংলাদেশের অর্থনীতির সক্ষমতা বিশ্বকে জানান দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন আয়োজকেরা।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) এই আয়োজনের সহযোগী হিসেবে থাকছে বিশ্বব্যাংক গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশন (আইএফসি)।

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান রোববার আগারগাঁওয়ে বিডার সম্মেলন কক্ষে এক অনুষ্ঠানে ‘বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট সামিটের’ লোগো উন্মোচন ও ওয়েবসাইট উদ্বোধন করেন।

এর আগে সবশেষ বাংলাদেশে বিনিয়োগ সম্মেলন হয়েছিল ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে তখনকার বাংলাদেশ বিনিয়োগ বোর্ডের অধীনে। ওই বছরই বিনিয়োগ বোর্ড ও বেসরকারীকরণ কমিশনকে একীভূত করে গঠিত হয় বিডা।

বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠিত হওয়ার পর এই প্রথম দেশের মাটিতে এ ধরনের আন্তর্জাতিক সম্মেলন হতে যাচ্ছে। ২০২০ সালে এ সামিট হওয়ার কথা থাকলেও করোনাভাইরাস মহামারির কারণে তা পিছিয়ে যায়।

আয়োজকেরা জানান, সম্মেলনের কিছু অংশ শারীরিক উপস্থিতিতেই হবে, বাকিটা হবে ভার্চুয়ালি। তবে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে রাজধানীর হোটেল র‌্যাডিসনে সরাসরি আয়োজন করা হবে।

লোগো উন্মোচন অনুষ্ঠানে সালমান এফ রহমান বলেন, ‘সম্প্রতি বিদেশের মাটিতে রোড শো ও অন্যান্য বিনিয়োগ বিষয়ক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে যেটা বুঝতে পেরেছি, বাংলাদেশের অর্থনীতি যতটা এগিয়েছে, এখানে বিনিয়োগ পরিবেশের যতটা উন্নতি হয়েছে, সেই তুলনায় প্রচার হয়নি। এই সামিটের প্রথম উদ্দেশ্য থাকবে বিনিয়োগকারীদের মাঝে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের সক্ষমতা তুলে ধরা।’

তিনি বলেন, ‘এই সম্মেলনের দ্বিতীয় উদ্দেশ্য বিদেশি, দেশি, প্রবাসী কিংবা দেশি-বিদেশি যৌথ বিনিয়োগ নিয়ে আসা। বাংলাদেশে গত কয়েক বছরে ব্যবসা বাণিজ্যের যে রকম অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়েছে, সেই সুযোগগুলো আমরা নিতে পারিনি।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন।

এতে কয়েকটি প্ল্যানারি সেশনের পাশাপাশি খাতভিত্তিক কারিগরি অধিবেশন হবে। সেখানে তথ্যপ্রযুক্তি, তৈরি পোশাক, ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড ইলেকট্রিকশিল্প, কৃষি, চামড়া, ওষুধশিল্প, স্বাস্থ্য, পরিবহনসহ ১২টি খাত নিয়ে আলোচনা হবে।

বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম বলেন, বিশ্বব্যাংকের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান আইএফসি এ আয়োজনের অর্থায়ন করবে। গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশে বিনিয়োগ টানতে যেসব সংস্কার কার্যক্রম নেয়া হয়েছে, বিনিয়োগকারীদের সামনে সেগুলো তুলে ধরা হবে।

এবারের সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, হংকং, চীন, নেদারল্যান্ডস, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), ভারত, তুরস্ক, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়ার সরকারি প্রতিনিধি ও বিনিয়োগকারীদের আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে।

পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ঋণদাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংকসহ (এআইআইবি) বৈশ্বিক অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। স্থানীয় নীতিনির্ধারক, অর্থনীতিবিদ ও বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিরাও এতে যোগ দেবেন।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব তাফাজ্জল হোসেন মিয়া, পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ অথরিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা আফরোজ, বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল নজরুল ইসলাম, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি জসিম উদ্দিন, বাংলাদেশ, ভুটান ও নেপালে আইএফসির ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ম্যানেজার নুজহাত আনোয়ার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

আলোচ্যসূচিতে যা থাকছে

এবারের আন্তর্জাতিক সম্মেলনের প্রথম দিনে বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় খাতগুলোসহ বিনিয়োগের পরিবেশ ও বিনিয়োগ সক্ষমতার সার্বিক চিত্র তুলে ধরা হবে। এর মধ্যে অন্যতম একটি হলো বাংলাদেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার চলমান পরিকল্পনা। এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলের হালনাগাদ তথ্য তুলে ধরা হবে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সামনে। এ ছাড়া বাংলাদেশে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা হবে প্রথম দিন।

দ্বিতীয় দিনে পোশাক, বস্ত্রসহ চামড়া ও চামড়াজাত খাতের পণ্য উৎপাদন এবং রপ্তানি নিয়ে আলোচনা হবে। এ ছাড়া মোবাইলে আর্থিক সেবার (এমএফএস) সম্ভাবনা, পুঁজিবাজার, পরিবহন, ওষুধশিল্প, কৃষি ব্যবসায় এবং ইলেকট্রনিক পণ্য উৎপাদনের সম্ভাবনা বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সামনে তুলে ধরা হবে।

এ বিভাগের আরো খবর