মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার রাধানগর এলাকায় শামছুল হকের মেয়ে কাজী নওশীন জাহান ঐশী। করোনা মহামারির মধ্যে পঞ্চম থেকে ষষ্ঠ শ্রেণিতে উঠেছে।
দীর্ঘ দেড় বছর স্কুল বন্ধ থাকার পর রোববার স্কুলে যায় সে। নতুন স্কুলে নতুন ড্রেস, জুতা। সব মিলিয়ে ভীষণ উচ্ছ্বসিত ঐশী।
করোনায় ঈদে নতুন জামা-জুতা কেনা হলেও, সংক্রমণের ভয়ে ঘর থেকে বের হতে দিতেন না ঐশীর বাবা-মা। রোববার বাবার সঙ্গে নতুন জামা-জুতা পরে স্কুলে যেতে পেরে তাই সেই আনন্দই উপভোগ করছে সে।
স্কুলে যাবার পথে তাই সে বাবাকে বলে, ‘করোনা আসার পর এই প্রথম মনে হচ্ছে আজ ঈদের দিন, আজ ঈদ ঈদ লাগছে।’
ঐশীর বাবা শামছুল হক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘খুব আনন্দ লেগেছে যখন মেয়ে আমাকে জানায় তার ঈদের আনন্দ লাগছে। আশা করি সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ছাত্র-ছাত্রীরা নিরাপদ থাকবে।’
বিভিন্ন স্কুল ঘুরে দেখা গেছে রোববার উপস্থিতি ছিল কম।
মৌলভীবাজারের সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আ খ ম ফারুক আহমদ বলেন, ‘প্রথম দিন তাই হয়তো অনেকেই দ্বিধাদ্বন্দ্বে ছিলেন। হয়তো অনেকে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। চলতি সপ্তাহেই স্বাভাবিক উপস্থিতি হবে বলে আমরা আশা করছি।’
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ফজলুর রহমান জানিয়েছেন, জেলায় হাইস্কুল-কলেজ মিলে মোট ২১২টি প্রতিষ্ঠানে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানা হয়েছে। প্রথম দিনে ছাত্র-ছাত্রীরা অনেক আনন্দিত ছিল প্রিয় ক্যাম্পাসে ফিরতে পেরে।
মাধ্যমিক স্কুলের মতো উপস্থিত কম লক্ষ্য করা গেছে প্রাথমিক স্কুলগুলোতে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শামসুর রহমান জানান, জেলায় ১ হাজার ৫১টি প্রাথমিক স্কুল রয়েছে। সবগুলো স্কুল চালু হয়েছে, স্বাস্থ্যবিধির ব্যাপারে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। প্রথম দিনে উপস্থিতি একটু কম ছিল, আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান বলেন, ‘আমরা কয়েক দফায় আলোচনা করেছি। মাঠপর্যায়ে নির্দেশনা দিয়েছি এবং তা বাস্তবায়নে মনিটরিং করা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে শতভাগ নিশ্চিত করা হয়েছে।