বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ক্লাসের সঙ্গে ফিরল যানজটের যন্ত্রণা

  •    
  • ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৮:০৫

স্বাধীন পরিবহনের বাসচালক করিম উল্লাহ জানান, তিনি বেলা ১১টার দিকে বাংলামোটর থেকে ফার্মগেট যাওয়ার পথে সোনারগাঁও হোটেলের সামনে যানজটে পড়েছিলেন। দুপুর ১২টার দিকে কারওয়ানবাজার পার হন। ১ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে তার লেগেছে ১ ঘণ্টা।

প্রায় দেড় বছর পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দিন রাজধানীতে ফিরে এসেছে তীব্র যানজটের দুর্ভোগ।

তবে যানজটের ভোগান্তি ফিকে করতে পারেনি শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের স্কুলে ফেরার আনন্দ।

রোববার রাজধানীর মগবাজার, বাংলামোটর, কলাবাগান, তেজগাঁও, ফার্মগেট, কারওয়ানবাজার, শান্তিনগর, আজিমপুর, নীলক্ষেত এলাকা ঘুরে দেখা যায় তীব্র যানজট।

ইস্কাটন গার্ডেন উচ্চ বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র অর্ক সরকারের বাবা সুধীর সরকার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘অন্যান্য দিনের চেয়ে আজ একটু বেশি যানজট মনে হচ্ছে। মনে হয় স্কুল খোলায় এই যানজট। তারপরও ছেলেকে স্কুলে নিয়ে আসতে পেরে ভালো লাগছে।’

ইস্পাহানি গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী ফারহানা রহমান বলেন, ‘স্কুল খোলায় হয়তো রাস্তায় আবার এত যানজট। তারপরও স্কুলে আসতে পেরে অনেক খুশি লাগছে।’

রাজধানীর ফার্মগেট মোড়ের যানজট। ছবি: সাইফুল ইসলাম/নিউজবাংলা

স্বাধীন পরিবহনের বাসচালক করিম উল্লাহ জানান, তিনি বেলা ১১টার দিকে বাংলামোটর থেকে ফার্মগেট যাওয়ার পথে সোনারগাঁও হোটেলের সামনে যানজটে পড়েছিলেন। দুপুর ১২টার দিকে কারওয়ানবাজার পার হন। ১ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে তার লেগেছে ১ ঘণ্টা।

বাংলামোটর মোড়ের ট্র্যাফিক সার্জেন্ট আহাদ সরকার বলেন, ‘অন্যান্য দিনের চেয়ে আজ গাড়ির চাপ অনেক বেশি। স্কুল-কলেজ খুলেছে আবার আজকে সপ্তাহের প্রথম দিন। সব মিলিয়ে এই যানজট। তবে আমরা চেষ্টা করছি যতটা পারা যায় যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণে রাখতে।’

দেড় ঘণ্টায় নিউমার্কেট থেকে কলাবাগান লেকসার্কাসে গেছেন মনির হোসেন।

এদিকে মগবাজার থেকে বনানী যাবেন বেসরকারি চাকরিজীবী আরশাদ হোসেন। অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে তারপর একটি বাসে উঠতে পেরেছেন।

তিনি জানান, সবগুলো বাসেই অনেক ভিড়। এতদিন পর আবার শিক্ষার্থীরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাওয়ার জন্য বের হয়েছে। ফিরে এসেছে ঢাকার স্বাভাবিক রূপ।

২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর ১৭ মার্চ থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। এরপর দফায় দফায় বাড়ানো হয় ছুটির মেয়াদ। সর্বশেষ ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছুটির মেয়াদ বাড়ানো হয়।

এক সপ্তাহ আগে আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষণা দেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। একই দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি হিসেবে ১৯টি নির্দেশনা জারি করে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। এসব নির্দেশনা মেনেই খুলেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

এ বিভাগের আরো খবর