করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে। দুই দিন পর আবার ৫০ পেরোল মৃত্যু। এ সময় নতুন করে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৮৭১ জনের দেহে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে রোববার পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এ নিয়ে দেশে ভাইরাসটিতে মৃত্যু হয়েছে ২৬ হাজার ৯৩১ জনের। আর ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে ১৫ লাখ ৩০ হাজার ৪১৩ জনের শরীরে।
শুক্রবার পরীক্ষার বিপরীতে সংক্রমণের হার ছিল ৭ দশমিক ৯১ শতাংশ যা শনিবার ২৪ ঘণ্টায় ছিল ৭ দশমিক ০৩ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্তের হার কিছুটা বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৮০২টি ল্যাবে ২৫ হাজার ৭৪ নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৭ দশমিক ৪৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৫৮৬ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৪ লাখ ৭৮ হাজার ৮২১ জন। সুস্থতার হার ৯৬ দশমিক ৫১। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে পুরুষ ২২ জন, নারী ২৯ জন। এই নিয়ে ১৩ বারের মতো পুরুষের তুলনায় নারীর মৃত্যু বেশি হয়েছে।
মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৬ শতাংশ। মৃতদের মধ্যে একটি শিশু রয়েছে। এ ছাড়া বিশোর্ধ্ব ২, ত্রিশোর্ধ্ব ৩, চল্লিশোর্ধ্ব ৭, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১৬, ষাটোর্ধ্ব ৮, সত্তরোর্ধ্ব ১২ ও অশীতিপর ২ জন।
বিভাগ অনুযায়ী সর্বোচ্চ ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এরপরই রয়েছে চট্টগ্রাম। এই বিভাগে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এ ছাড়া খুলনায় ৯ জন, রাজশাহীতে ১, সিলেটে ৬ ও রংপুরে ১, ময়মনসিংহে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের পথে। দুই সপ্তাহ মৃত্যু ১০০-এর নিচে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী কোনো দেশে ২০ হাজার নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় যদি ৫ শতাংশের নিচে সংক্রমণ ধরা পড়ে; আর তা যদি দুই সপ্তাহ পর্যন্ত একই অবস্থা থাকে তাহলে বলা হয়, সে দেশে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে।
এই হিসাবে আরও ২ শতাংশ শনাক্তের হার কমার অপেক্ষায় থাকতে হবে। তবে সরকার এক প্রকার ঝুঁকি নিয়েই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিয়েছে রোববার থেকে। অবশ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মানতে হবে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি।