দেশে পরীক্ষা বিবেচনায় করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার কমছে। এখন সংক্রমণ হার ৭ শতাংশের ঘরে। তবে স্বাস্থ্যবিধি না মানলে যেকোনো সময় সংক্রমণ আবার বাড়তে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে নতুন নিয়োগ পাওয়া জুনিয়র কনসালটেন্ট (অ্যানেস্থেসিওলজি) অরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রোববার দুপুরে এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘দেশে এখন করোনা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এটা কোনো ম্যাজিকের মাধ্যমে সম্ভব হয়নি। এটা চিকিৎসক ও সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় হয়েছে। দেশে করোনা সংক্রমণের হার ৭ দশমিক ০৩ শতাংশ। তবে এটা যেকোনো সময় বাড়তে পারে। এ বিষয়ে আমাদের সচেতন হতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘দেশে অক্সিজেনের অভাবে কোনো রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। যেটা ভারতের ঘটেছে। সেখানে গাড়িতে রোগী মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। করোনা নিয়ন্ত্রণে সফলতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ, যেটা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ করতে পারেনি। ভারত, আমেরিকা ও যুক্তরাজ্যেও করোনা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি।’
জাহিদ মালেক বলেন, ‘দেশে করোনা নিয়ন্ত্রণ আছে বলেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়েছে। করোনা নিয়ন্ত্রণ আছে বলেই অর্থনৈতিক অবস্থা অনেক ভালো রয়েছে।’
দেশে অ্যানেস্থেসিওলজি বিশেষজ্ঞসংকট রয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অ্যানেস্থেসিওলজির নতুন নিয়োগটি দ্রুত সময়ের মধ্যে দেয়া হয়েছে। আরও নিয়োগ দেয়া হবে। সংকট সমাধানে পর্যায়ক্রমে নিয়োগ দেয়া হবে।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার খুরশীদ বলেন, ‘৪০৯ জন নতুন অ্যানেস্থেসিওলজিস্ট নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এমন নিয়োগ বাংলাদেশের ইতিহাসে হয়নি।
‘তবে দুঃখের বিষয় হলো, এরই মধ্যে আমার কাছে অনেক টেলিফোন এসেছে নিজেদের পছন্দমতো হাসপাতালে নিয়োগ পাওয়ার জন্য। আমি তাদের বলতে চাই, অধিদপ্তর থেকে যাদের যে হাসপাতালে নিয়োগ দেয়া হবে সেখানেই কাজ করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘অ্যানেস্থেসিওলজিস্ট যে পরিমাণ প্রয়োজন, আমি একজন সার্জন হিসেবে তাদের গুরুত্ব বুঝি। সার্জনের ভুলের জন্য রোগীর অবস্থা খারাপ হয় না। তবে অ্যানেস্থেসিওলজিতে বিন্দুমাত্র ভুলের কারণে রোগীর মৃত্যু ঘটে। তবে এ বিষয়ে মানুষের ভালো ধারণা নেই। তাই আমি বলব, আপনারা এই চাকরির মর্যাদা রাখবেন।
অ্যানেস্থিওলজিস্টদের অরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। ছবি: নিউজবাংলা
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য ও শিক্ষাসচিব আলী নূর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা, অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শরফুউদ্দিন আহমেদ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের মহাসচিব এম এ আজিজসহ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্মকর্তারা।