বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সামি-খলিলের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

  •    
  • ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৬:৩৩

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় আল-জাজিরার অনুসন্ধানী দলের সদস্য ও হুইসেল ব্লোয়ার হিসেবে পরিচিত সামিউল ইসলাম খান সামি, নেত্র নিউজের এডিটর-ইন চিফ তাসনিম খলিল, ব্লগার আশিক মোহাম্মাদ ইমরান ও স্বপন ওয়াহিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় পলাতক সামি-খলিলসহ চারজনের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।

বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী, মুক্তিযুদ্ধ ও করোনাভাইরাস নিয়ে অপপ্রচারের অভিযোগে সাতজনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণের পর ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত রোববার এই পরোয়ানার আদেশ দেয়।

ওই চারজন হলেন আল-জাজিরার অনুসন্ধানী দলের সদস্য ও হুইসেল ব্লোয়ার হিসেবে পরিচিত সামিউল ইসলাম খান সামি, নেত্র নিউজের এডিটর-ইন চিফ তাসনিম খলিল, ব্লগার আশিক মোহাম্মদ ইমরান ও স্বপন ওয়াহিদ।

ওই মামলায় অভিযুক্ত বাকি তিনজন কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর, রাষ্ট্রচিন্তার মো. দিদারুল ইসলাম ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন জামিনে আছেন।

মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা সিটিটিসি উপপরিদর্শক (এসআই) আফছর আহমেদ গত ১০ মে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন যা রোববার গ্রহণ করে আদালত।

কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর, লেখক মুশতাক আহমেদসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে গত বছরের মে মাসে রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে র‌্যাব।

এই মামলার বাকি আসামিরা হলেন লেখক মুশতাক আহমেদ, যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী সাংবাদিক শাহেদ আলম, জার্মানিপ্রবাসী ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিন ও ফিলিপ শুমাখার।

কারাগারে লেখক মুশতাক আহমেদ মারা যাওয়ায় এবং যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী সাংবাদিক শাহেদ আলম, ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিনদের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণ না পাওয়ায় ও ফেসবুক আইডিতে ফিলিপ শুমাখারের নাম-ঠিকানা না পাওয়ায় তাদের অব্যাহতির আবেদন করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা।

এজাহারে বলা হয়েছে, কার্টুনিস্ট কিশোর তার ‘আমি কিশোর’ ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সরকারের ভূমিকা নিয়ে বিভিন্ন সমালোচনামূলক কার্টুন-পোস্টার পোস্ট করতেন। মুশতাক তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে কিশোরের সেসব পোস্টের কয়েকটি শেয়ার করেছেন। আসামিরা ‘আই এম বাংলাদেশি’ নামে ফেসবুক পেজে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি বা সুনাম ক্ষুণ্ন করতে বা বিভ্রান্তি ছড়ানোর উদ্দেশে অপপ্রচার বা গুজবসহ বিভিন্ন ধরনের পোস্ট দিয়েছেন, যা জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি এবং আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটায়। এ ছাড়া হোয়াটসঅ্যাপ ও ফেসবুক মেসেঞ্জারে তাসনিম খলিল, শায়ের জুলকারনাইন, শাহেদ আলম, আসিফ মহিউদ্দিনের সঙ্গে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক চ্যাটিংয়ের প্রমাণ পাওয়া গেছে।

মামলায় তাদের বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মুক্তিযুদ্ধ, মহামারি করোনাভাইরাস সম্পর্কে গুজব, রাষ্ট্র ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে অপপ্রচার ও বিভ্রান্তি ছড়িয়ে রাষ্ট্রের জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি, অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগ আনা হয়।

মামলার পর গ্রেপ্তার হয়ে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে মিনহাজ মান্নান ও দিদারুল আলম ভূঁইয়া জামিনে মুক্তি পান। কার্টুনিস্ট কিশোর ও লেখক মুশতাক কারাগারে ছিলেন।

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি মুশতাক কাশিমপুর কারাগারে মারা যান।

এদিকে গত ৪ ফেব্রুয়ারি মামলার পূর্বের তদন্ত কর্মকর্তা রমনা থানার পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মহসীন সরদার আদালতে একটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। সেখানে কার্টুনিস্ট কিশোর ও রাষ্ট্রচিন্তার দিদারুল এবং লেখক মুশতাককে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। অন্যদিকে শায়ের জুলকারনাইন ওরফে সামি ও মিনহাজ মান্নান, আশিক মোহাম্মাদ ইমরান, তাসনীম খলিল, স্বপন ওয়াহিদসহ ৮ জনের অব্যাহতি চাওয়া হয়।

তদন্ত প্রতিবেদনে আল-জাজিরা টেলিভিশনে সাবেক সেনাপ্রধানকে নিয়ে প্রচারিত প্রতিবেদনের প্রধান চরিত্র হিসেবে সামিউল ইসলাম খান ওরফে শায়ের জুলকারনাইন ওরফে সামির অব্যাহতি পাওয়া নিয়ে সংবাদপত্রে আলোচনা-সমালোচনা হওয়ায় মামলাটি পরে অধিকতর তদন্তে পাঠানো হয়। অধিকতর তদন্ত শেষে এবার সাতজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করা হলো।

সামি অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল বাতেন খানের ছেলে।

এ বিভাগের আরো খবর