বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নির্বাচন: বিএনপির শর্তের পর সংলাপে আগ্রহ আ.লীগের

  •    
  • ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৫:৪২

আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার, নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন, খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের শর্ত দিয়েছে বিএনপি। এর জবাবে আওয়ামী লীগ নেতা ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘নির্বাচনি ব্যবস্থা কীভাবে জোরদার করা যায় সে নিয়ে আলোচনা হতে পারে। তবে এমন হুমকি-ধমকি দিয়ে নয়।’

আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে বিএনপি চারটি শর্ত দেয়ার পরদিন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সংলাপে বসার আগ্রহের কথা জানানো হয়েছে।

দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচন হবে সংবিধান মেনে। বিএনপির শর্তের কিছু নেই। তবে তারা সংলাপে বসতে প্রস্তুত।

রোববার সরকারি বাসভবন থেকে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ কথা জানিয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা ওবায়দুল কাদের।

আগের দিন এক আলোচনায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে চারটি শর্ত দেন। এগুলো হলো: নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার, নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন, তাদের দলের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং তাদের দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে থাকা মামলা প্রত্যাহার।

আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচনে যেতে বিএনপির চার শর্ত

বিএনপির এসব শর্তের প্রতিক্রিয়ায় ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচনি ব্যবস্থা কীভাবে জোরদার করা যায় সে নিয়ে আলোচনা হতে পারে। তবে এমন হুমকি-ধমকি দিয়ে নয়। বেগম জিয়া একসময় বলেছিলেন, পাগল ও শিশু ছাড়া নিরপেক্ষ কেউ নয়, তাহলে মির্জা ফখরুল সাহেবই বলুন, নিরপেক্ষতার সংজ্ঞা কী?’

শনিবার রাজধানীতে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের এক আলোচনায় জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে চারটি শর্ত দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

বিএনপি আসলে ভোটে জয়ের আগাম নিশ্চয়তা চায় বলে মনে করেন আওয়ামী লীগ নেতা। বলেন, ‘আদালতের রায় পক্ষে গেলে বিএনপি বলে, বিচার বিভাগ স্বাধীন। আর বিপক্ষে গেলে বলে সরকার বিচার বিভাগকে নিয়ন্ত্রণ করছে। ঠিক তেমনি, তারা নির্বাচন কমিশনের কাছে জয়ের গ্যারান্টি চায়। তাদের কাছে সুষ্ঠু নির্বাচন মানে, প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করে জয়লাভ করা। নির্বাচনে জিততে হলে জনসমর্থনই পুঁজি। সেই পুঁজি বিএনপির নেই। নেতিবাচক রাজনীতির কারণে তারা ক্রমেই জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। তারা ক্ষমতাপ্রিয়, কিন্তু নির্বাচন বিমুখ রাজনৈতিক দল।’

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর উচ্চ আদালতের রায়ে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল হলে বিএনপি দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করে তা প্রতিহতের ডাক দেয়। তবে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়রির ভোট ঠেকাতে পারেনি তারা।

শুরুতে আন্দোলনের কথা বললেও ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের ভোটে বিএনপি অংশ নেয় আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনেই। তবে ভোটে কারচুপির অভিযোগ এনে বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচনে আর অংশ না নেয়ার সিদ্ধান্তের কথা তারা জানিয়েছে।

সংলাপের আগ্রহ প্রকাশ করলেও বিএনপির শর্ত প্রত্যাখ্যান

বিএনপির সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহী হলেও বিএনপি যেসব শর্ত দিয়েছে, সেগুলোও প্রত্যাখ্যান করেছেন ওবায়দুল কাদের। বলেন, ‘কার অধীনে নির্বাচন হবে সেটা মীমাংসিত। সংবিধান অনুযায়ী পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন হবে। পৃথিবীর অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, বাংলাদেশেও সেভাবে নির্বাচন হবে।’

নির্বাচনে কোনো পক্ষপাত হবে না বলে বিএনপিকে আশ্বস্ত করেন তিনি। বলেন, ‘নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনেই আগামী নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষভাবেই শেষ হবে।’

‘বিএনপির হুমকিতে নতুনত্ব নেই’

জাতীয় নির্বাচন নিয়ে মির্জা ফখরুলের চার শর্ত এবং তাদের কথা অনুযায়ী না হলে আগামীতে দেশে কোনো নির্বাচন হবে না বলে যে হুঁশিয়ারি এসেছে তাকে ‘রীতিমতো হুমকি’ বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, ‘এ ধরনের হুমকি প্রতিটি জাতীয় নির্বাচন এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচনের আগে তারা নিয়মিতই দিয়ে যাচ্ছে। এতে নতুনত্ব নেই। বিএনপি নেতাদের এসব আস্ফালন আষাঢ়ে তর্জনগর্জন সার।’

আওয়ামী লীগকে ‘হুমকি-ধমকি’ দিয়ে লাভ নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনাদের সক্ষমতা সম্পর্কে মানুষ জানে এবং আপনারাও জানেন। পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন যথাসময়ে সংবিধানসম্মতভাবেই অনুষ্ঠিত হবে।’

কাদের বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেয় জেতার জন্য নয়, নির্বাচন ব্যবস্থাকে বিতর্কিত করতে। কিন্তু জনগণ এসব জারিজুরি বুঝে ফেলেছে। তাই হুমকি-ধমকিতে কোনো কাজ নেই।

‘বিএনপি নির্বাচনকে ভয় পায়। ভয় পায় জনগণের সামনে যেতে। তারা নির্বাচনে অংশ নিলেও প্রচার-প্রচারণা করে না। আবার প্রচার-প্রচারণা চালালেও নির্বাচনের দিন কেন্দ্রে যায় না কিংবা দুপুরের আগেই কেন্দ্র ছেড়ে চলে যায়।

‘তাদের এজেন্ট দেয়ার সক্ষমতা না থাকলেও এজেন্ট বের করে দেয়া হয়েছে এমন অভিযোগ তোলে। এসব কর্মকাণ্ড জনগণের সঙ্গে নির্বাচনে অংশগ্রহণের নামে প্রতারণার শামিল। জনগণ তাই তাদের আর বিশ্বাস করে না।’

এ বিভাগের আরো খবর