সপ্তাহের প্রথম দিন পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু হতে না-হতেই আগের আট কর্মদিবসের ধারাবাহিকতায় সূচক লাফ দিলেও দিন শেষে পতনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে লেনদেন।
দিনের সবচেয়ে লক্ষণীয় বিষয় ছিল লোকসানি স্বল্প মূলধনি কোম্পানির ঢালাও পতন। মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই কেবল শেয়ারসংখ্যা কম, এ কারণে অস্বাভাবিকভাবে দাম বেড়ে পুঁজিবাজার নিয়েই উদ্বেগ ছড়ানো কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর পড়েছে ঢালাওভাবে।
সব মিলিয়ে ৫৪টি কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে ৫ থেকে ১০ শতাংশ পর্যন্ত। ১০টির মতো কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে এক দিনে যত কমা সম্ভব ততই। এর প্রায় সবগুলোর শেয়ার দর ব্যাপকভাবে বাড়তে থাকা নিয়ে নানা প্রশ্ন ছিল।
গত বছরের জুলাই থেকে পুঁজিবাজারে অভাবনীয় উত্থানের মধ্যে জুলাই থেকে স্বল্প মূলধনি কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর তরতর করে বাড়তে শুরু করে। কখনও লভ্যাংশ দেয়ার ইতিহাস নেই বা দিলেও একেবারে নগণ্য, শেয়ারপ্রতি আয় নেই, প্রতিবছর লোকসান দেয়, সম্পদ নেই, উল্টো দায়দেনায় জর্জরিত, অদূর ভবিষ্যতে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে কি না, এমন আশঙ্কার মধ্যেও নিয়মিত লভ্যাংশ দেয়া মৌলভিত্তিক কোম্পানির শেয়ার দরকে ছাড়িয়ে যাওয়া নিয়ে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা চলছে।
এসব কোম্পানির শেয়ার দরে অস্বাভাবিক বাড়বাড়ন্ত রুখতে একাধিকবার উদ্যোগ নিয়েও দৃশ্যমান কিছু করতে পারেনি নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।
প্রথমে ৯ কোম্পানির শেয়ার দর বৃদ্ধির বিষয়টি খতিয়ে দেখতে কমিটি গঠন করা হয়। এরপর স্বল্প মূলধনি কোম্পানিগুলো নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে করা হয় আরেকটি কমিটি। সবশেষ ৪০ পিইর বেশি কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর বৃদ্ধির বিষয়টির পাশাপাশি এসব শেয়ারে নিয়ম লঙ্ঘন করে মার্জিন ঋণ দেয়া হয়েছে কি না, তা তদন্ত করতে স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয় বিএসইসি।
দুর্বল কোম্পানির শেয়ারদর নিয়ে বিশ্লেষকরা সতর্ক করলেও বিনিয়োগ বাড়িয়েই চলছিলেন বিনিয়োগকারীরা। তারা ভীষণভাবে হতাশ হয়েছেন রোববারের লেনদেনে
এর মধ্যে গত সপ্তাহ থেকে মৌলভিত্তির নিয়মিত লভ্যাংশ দিয়ে আসা কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করে। আর বড় মূলধনি কোম্পানির শেয়ার দর বৃদ্ধির কারণে গত সপ্তাহে সূচক বাড়ে ২০৮ পয়েন্ট। এই সময়ে লোকসানি কোম্পানিগুলো একটু একটু করে দর হারাতে থাকে।
রোববার লেনদেন শুরুই হয় আগের দিনের তুলনায় ৩১ পয়েন্ট যোগ হয়ে। বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষ হয়েছিল ৭ হাজার ২৫৮ পয়েন্টে। সকাল ১০টা ৫৮ মিনিটে একপর্যায়ে সূচক বেড়ে হয়ে যায় ৭ হাজার ৩৩৬ পয়েন্ট। সে সময় সূচকে যোগ হয় ৭৮ পয়েন্ট।
এরপর থেকেই সূচক কমতে থাকে। দুপুর ১২টা ২৮ মিনিটে ৭ হাজার ২৪৬ পয়েন্ট নামার পর ২০ মিনিটে সেখান থেকে যোগ হয় ৩৪ পয়েন্ট। সূচক দাঁড়ায় ৭ হাজার ২৮০ পয়েন্টে। সেখান থেকে পরের পৌনে দুই ঘণ্টায় সূচক কেবল পড়েছেই।
দিন শেষে আগের দিনের তুলনায় সূচক পড়ে ৫৬ পয়েন্ট। একপর্যায়ে পড়েছিল ৬৭ পয়েন্ট। তবে একেবারে শেষ বেলায় সমন্বয়ের কারণে সেখান থেকে ১১ পয়েন্ট বেড়ে লেনদেন শেষ হয় ৭ হাজার ২০২ পয়েন্টে।
গত ২৭ জুন ১০০ পয়েন্ট পতনের পর এটিই সূচকের সবচেয়ে বড় পতন।
দিনের সর্বোচ্চ সূচকের সঙ্গে বেলা শেষে সূচকের পার্থক্য ১২৪ পয়েন্ট।
পতনের দিন লেনদেনও কমেছে, এমন নয়। বরং আগের দিনের চেয়ে কিছুটা বেড়েছে। বৃহস্পতিবার লেনদেন ছিল ২ হাজার ৬৯৬ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। আর আজ হাতবদল হয়েছে ২ হাজার ৭০৮ কোটি ৪ লাখ টাকা।
এটি দুটি বিষয়কে নির্দেশ করে। প্রথমত, শেয়ারের কোম্পানির দর হারানোকে সুযোগ মনে করে কিনেছেন কেউ কেউ অথবা আরও কমতে পারে ভেবে আতঙ্কে শেয়ার বিক্রি করেছেন বিনিয়োগকারীরা।
স্বল্পমূলধনি লোকসানি প্রায় সব কোম্পানির পতন
যে ৫৪টি কোম্পানির শেয়ারদর কমপক্ষে ৫ শতাংশ কমেছে, তার মধ্যে হাতে গোনা দুই একটি ছাড়া বাকিগুলো লোকসানি। আর এর সিংহভাগই স্বল্প মূলধনি। কেবল শেয়ার সংখ্যা কম-এই কারণেই টানা বাড়ছিল শেয়ার দর।
সবচেয়ে বেশি পড়েছে শ্যামপুর সুগারের দর যেটির দর গত তিন মাসে তিন গুণেরও বেশি বেড়ে গিয়েছিল। বিপুল পরিমাণ লোকসানে জর্জর চিনি কলটিকে টেনে তুলতে একটি প্রাথমিক প্রস্তাব করা হয়েছে। আর এই খবরেই পাগলা ঘোড়ার মতো ছুটতে থাকে দাম।
গত ২ সেপ্টেম্বর কোম্পানির এ সময়ে সর্বোচ্চ দর ছিল ১৩১ টাকা ৬০ পয়সা থেকে থকে টানা ৬ কার্যদিবস ধরে কমছে কোম্পানির শেয়ার দর। রোববার শেয়ার দর ১০ শতাংশ কমে হয়েছে ১১০ টাকা ৭০ পয়সা।
মিথুন নিটিং লিমিটেডের শেয়ার দরও রোববার কমেছে ১০ শতাংশ। বন্ধ এই কোম্পানিটির শেয়ারদর গত তিন মাসে ১০ টাবা ৫০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ২৬ টাকা ৩০ পয়সা পর্যন্ত উঠেছিল।
বিমা ছাড়া এমন কোনো খাত ছিল না যা দরপতনের মধ্য দিয়ে যায়নি
এই কোম্পানির দরও ১০ শাতংশ কমে এখন দাঁড়িয়েছে ১৯ টাকা ৮০ পয়সা।
বিচ হ্যাটারিরে শেয়ার দর কমেছে ৯.৯৬ শতাংশ, যেটি গত তিন মাস ধরে বাড়ছিল অস্বাভাবিক হারে।
মেঘনা পেট লিমিটেডের শেয়ার দর কমেছে ৯.৮৩ শতাংশ। অলটেক্স ও সাফকো স্পিনিংয়ের শেয়ার দর কমেছে যথাক্রমে ৯.৭২ ও ৯.৫৮ শতাংশ।
সাভার রিফেক্টরিজের দর ৮.৭৩ শতাংশ, জিল বাংলা সুগার মিলের ৭.৯৬ শতাংশ, পেপার প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেডের ৭.৯৯ শতাংশ, তাল্লু স্পিনিং মিলসের ৭.৭৪ শতাংশ শেয়ার দর কমেছে।
দর হারানো এসব লোকসানি কোম্পানির লভ্যাংশ দেয়ার ইতিহাস নেই বললেই চলে। তার পেপার প্রসেসিং সম্প্রতি ওটিসি মার্কেট থেকে ফিরেছে মূল মার্কেটে।
দর বেড়ে টেকেনি ব্যাংক ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের
লেনদেনের শুরুতে ব্যাংক খাতে বেশ কিছু কোম্পানি উজ্জ্বলতা ছড়িয়েছিল। আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, ইবিএল, যমুনা ব্যাংক, এনআরবিসি রূপালী ব্যাংকের শেয়ারদর বাড়ে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে। অন্য ব্যাংকগুলোর দরও অল্প পরিমাণে বাড়ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত ইবিএল ও এনআরবিসি ছাড়া বাকিগুলোর দর বৃদ্ধি সেভাবে টেকেনি।
দিন শেষে কমেছে সিংহভাগ ব্যাংকের দর। বেড়েছে ছয়টির, কমেছে ২০টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৬টির দর।
এ খাতের মোট লেনদেন হয়েছে ১৮৬ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ১৯৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকা।
শতকরা হিসেবে সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছ এনআরবিসি ব্যাংকের ৩.৫৭ শতাংশ। আর সবচেয়ে বেশি দর হারিয়েছে নতুন তালিকাভুক্ত সাউথ বাংলা ব্যাংক। ৩.৭৯ শতাংশ হারিয়ে ব্যাংকটির শেয়ার দর ২১ টাকা ১০ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ২০ টাকা ৩০ পয়সা।
এবি ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে ২.৪৬ শতাংশ। শেয়ার দর ১৬ টাকা ২০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৫ টাকা ৮০ পয়সা।
ডাচবাংলা ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে ২.৩৪ শতাংশ। শেয়ার দর ৮৫ টাকা ৩০ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ৮৩ টাকা ৩০ পয়সা।
ন্যাশনাল ব্যাংকের শেয়ার দর ৮ টাকা ৯০ পয়সা থেকে ২.২৪ শতাংশ কমে হয়েছে ৮ টাকা ৭০ পয়সা।
শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার দর ২২ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ১.৭৯ শতাংশ কমে হয়েছে ২১ টাকা ৯০ পয়সা।
ব্যাংকের মতো তালিকাভুক্ত মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোর ইউনিট প্রতি দর লেনদেনের শুরুতে উত্থানে আভাস দিলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দর পতনের তালিকায় স্থান করে নেয়।
এদিন সবচেয়ে বেশি দর হারিয়েছে ফিনিক্স ফিনান্স ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৩.৮৮ শতাংশ। ফান্ডটির ইউনিট প্রতি দর ১০ টাকা ৩০ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ৯ টাকা ৯০ পয়সা।
এক্সিম ব্যাংক ফাস্র্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটি দর ৮ টাকা ১০ পয়সা থেকে ২.৪৬ শতাংশ কমে হয়েছে ৭ টাকা ৯০ পয়সা।
প্রাইম ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটি দর ২১ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ২.৩২ শতাংশ কমে হয়েছে ২১ টাকা।
৫টি ফান্ডের দর বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ১৭টির দর। লেনদেন হয়েছে মোট ৭২ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৬৯ কোটি ৫২ লাখ টাকা।
উজ্জল বিমা খাত, বস্ত্রে ঢালাও পতন
৫৬ পয়েন্ট হারালেও দর বাড়ার তালিকায় এগিয়ে ছিল তালিকাভুক্ত বিমা খাতের কোম্পানিগুলো। লেনদেনে এ খাতের ৫১টি কোম্পানির মধ্যে ১৪টি কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে। পাল্টায়নি ৫টির। বাকি ৩২টি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে।
লেনদেনেও সেরা এই খাত। মোট হাতবদল হয়েছে ৩৮০ কোটি ৩১ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৩৩৮ কোটি টাকা।
বিমা খাতের কোম্পানিগুলোর মধ্যে রোববার সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে নিটল ইন্স্যুরেন্সের ৯.৪৯ শতাংশ। শেয়ার দর ৬১ টাকা ১০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৬৬ টাকা ৯০ পয়সা।
রোববার কেবল বিমা খাতের শেয়ারধারীরাই স্বস্তির মধ্যে ছিলেন। লেনদেনেও সেরা ছিল এই খাতটিই
ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের দর বেড়েছে ৭.৮৩ শতাংশ। শেয়ার দর ১৪৫ টাকা ৬০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৫৭ টাকা।
ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্সের দর বেড়েছে ৫.৬৬ শতাংশ। শেয়ার দর ২৪০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ২৫৩ টাকা ৬০ পয়স।
লেনদেনে ঠিক বিপরীত অবস্থায় ছিল বস্ত্র খাতের। লেনদেনে ৫৮টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫টির। দর পাল্টায়নি দুটির। বাকি ৫১টি কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে।
তবে দরপতনেও বেড়েছে লেনদেন। হাতবদল হয়েছে ২৭৬ কোটি ৩৯ লাখ টাকার শেয়ার, যা আগের কার্যদিবসে ছিল ২৫৬ কোটি ১১ লাখ টাকা।
বস্ত্র খাতের সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পাওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে আছে আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, যার দর বেড়েছে ৯.১৫ শতাংশ। শেয়ার দর ৪৯ টাকা ২০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৫৩ টাকা ৭০ পয়সা।
সবচেয়ে বেশি দর হারানো ১০টি কোম্পানির তিনটিই বস্ত্র খাতের। এর সবগুলোর দরই কমেছে একদিনে যত কমা সম্ভব প্রায় ততটাই। কোম্পানিগুলো হলো মিথুন নিটিং, অলটেক্স এবং সাফকো স্পিনিং।
অন্যান্য খাতের লেনদেন
ওষুধ ও রসায়ন খাতের ৩১টি কোম্পানির মধ্যে দর হারিয়েছে ২২টির, বেড়েছে ৮টির দর। একটির লেনদেন দীর্ঘদিন ধরেই স্থগিত।
হাতবদল হয়েছে ৩২১ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে হাতবদল হয়েছিল ৩৪৩ কোটি ১০ লাখ টাকা।
প্রকৌশল খাতের ৪২টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৪টির, কমেছে ৩৮টির। লেনদেন হয়েছে ২৯৪ কোটি ২৯ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৩৪৭ কোটি ১৩ লাখ টাকা।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ২৪টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৬টির, কমেছে ১৭টির। লেনদেন হয়েছে ২২৬ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ২২১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।
খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের ২০টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫টির, কমেছে ১৪টির। একটি দর ধরে রাখতে পেরেছে।
এই খাতে লেনদেন হয়েছে ১৪৪ কোটি ৫২ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ১৭১ কোটি ৯০ লাখ টাকা।
বিবিধ খাতের ১৪টি কোম্পানির মধ্যে দাম কমেছে ৯টির, বেড়েছে ৫টির। হাতবদল হয়েছে ১৫৩ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে হাতবদল হয়েছিল ১২৪ কোটি ৩৬ লাখ টাকা।
শেয়ার দর কমেছে তথ্য প্রযুক্তি খাতেও। এই খাতে ১১টি কোম্পানিটির মধ্যে দর হারিয়েছে সবগুরো। লেনদেন হয়েছে ৪১ কোটি ৪০ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৪৫ কোটি ১১ লাখ টাকা।
সূচক ও লেনদেন
ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৫৬ দশমিক ৬৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ২০২ পয়েন্টে।
শরিয়াহভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস ১৬ দশমিক ৩৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫৭৫ পয়েন্টে।
বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক ৯ দশমিক ০৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৬৩৮ পয়েন্টে।
লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৭০৮ কোটি টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৬৯৬ কোটি টাকা।
চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই ১৪৬ দশমিক ৭৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ৯৮৪ পয়েন্টে। লেনদেন হয়েছে ১১৪ কোটি টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৯৬ কোটি টাকা।