দেশের ১৬টি সরকারি হাসপাতালে ২৮টি রোগনির্ণয় যন্ত্র বাক্সবন্দি অবস্থায় পড়ে থাকার ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে এসব যন্ত্রপাতি পড়ে থাকায় বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে আদালত।
এ-সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে বিচারক এম ইনায়েতুর রহিম ও মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনোজ কুমার ভৌমিক।
নিউজবাংলাকে তিনি জানান, স্বাস্থ্যসচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ১৬ হাসপাতাল পরিচালকসহ ২১ জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
মনোজ কুমার বলেন, “গত ২৪ আগস্ট ‘১৬ হাসপাতালে ২৮টি যন্ত্র বাক্সবন্দি’ শিরোনামে একটি জাতীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে ২৬ আগস্ট জনস্বার্থে আমি হাইকোর্টে রিট করি। আদালত আজ ওই রিটের শুনানি নিয়ে রুল জারি করেছেন।”
প্রকাশিত প্রতিবেদনের বরাতে জানা যায়, দেশের বিভিন্ন জেলার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, জেলা হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বাক্সবন্দি যন্ত্রগুলোর মধ্যে ১৩টি এক্স-রে, ছয়টি ভেন্টিলেটর, চারটি আলট্রাসনোগ্রাম ছাড়াও রয়েছে একটি করে ইসিজি, ল্যাপারোস্কপি, কালচার ইনকিউবেটর, হট এয়ার ওভেন ও অটোক্লেভ মেশিন। পড়ে থেকে কোনো কোনো যন্ত্র নষ্টও হয়ে গেছে। কোনোটি নষ্ট হওয়ার উপক্রম।
বেশির ভাগ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই জানিয়েছে, যন্ত্র অব্যবহৃত থাকার প্রধান কারণ সংশ্লিষ্ট লোকবলের অভাব। কোথাও কারিগরি সহায়তার অভাবে যন্ত্র বসানো যায়নি।