লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে নদীভাঙনে মাটি ধসে চাপাপড়া নিখোঁজ একজনকে রোববার বেলা ১১টা পর্যন্ত উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
উপজেলার জারীদোনা মাছঘাট এলাকায় শনিবার বিকেলে নদীর পাড়ে মাটি ধসে চারজন চাপা পড়েন। এ সময় তিনজনকে জীবিত উদ্ধার করা গেলেও নিখোঁজ হন আবদুল মালেক।
আবদুল মালেক উপজেলার বালুচর সোনালী গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয়রা জানায়, শনিবার বিকেলে আবদুল মালেক জারীদোনা এলাকায় পাড়ে বসে নদীর ঢেউ দেখছিলেন। হঠাৎ করে জোয়ারের স্রোতে পাড়ের মাটি ধসে যায়। এতে আবদুল মালেক, ইছমাইল হোসেন ও জিয়াদ হোসেনসহ চারজন মাটিচাপা পড়েন। পরে স্থানীয়রা তিনজনকে জীবিত উদ্ধার করতে পারলেও মালেকের খোঁজ মেলেনি।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবুরি দল নদীতে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। রোববার দুপুর পর্যন্ত নিখোঁজ আবদুল মালেককে উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। এখনও তাকে উদ্ধার করতে পারেনি।
আবদুল মালেকের ছেলে মিল্লাত হোসেন জানান, বাবার খোঁজে নদীর পাড়ে রাত-দিন অপেক্ষা করছেন তিনি। বাবার মরদেহটুকু যেন দেখতে পান, সেটাই তার দাবি।
লক্ষ্মীপুর ফায়ার সার্ভিসের ডেপুটি সহকারী পরিচালক লিটন আহম্মেদ বলেন, ‘শনিবার বিকেল থেকে রোববার দুপুর পর্যন্ত জারীদোনা এলাকায় মেঘনা নদীতে ডুবুরি দল অভিযান চালাচ্ছে। নদীতে তীব্র স্রোত থাকায় উদ্ধার অভিযান চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তারপরও আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’
রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলাইমান হোসেন জানান, আবদুল মালেককে উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।