স্কুলে এসেই ছোট্ট অর্পিতা খুঁজছে তার প্রিয় ঝালমুড়ি মামাকে। তাকে দেখতে না পেয়ে বেশ চিন্তিত সে। করোনার মধ্যে কেমন ছিলেন বৃদ্ধ ঝালমুড়ি মামা তা নিয়েও শঙ্কায় অর্পিতা।
চট্টগ্রাম নগরীর হামজারবাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে অর্পিতা দাশ। সে নিউজবাংলাকে বলে, ‘অনেকদিন পর আমার বেস্ট ফ্রেন্ডকে দেখব। সে অবশ্য এখনও স্কুলে আসেনি। তবে আম্মুর ফোন থেকে কথা হয়েছে, ও আসবে বলছে।
‘আজ অনেকদিন পর টিচারদের সঙ্গেও দেখা হবে। তবে স্কুলের পাশে বৃদ্ধ করে একজন ঝালমুড়ি বিক্রেতা মামা ছিলেন। তাকে দেখতে পাচ্ছি না। না জানি তিনি কেমন আছেন।’
দীর্ঘ দেড় বছর পর স্কুলে ফিরে রীতিমতো উৎসবের আমেজ চলছে চট্টগ্রামের স্কুল-কলেজগুলোতে। তবে শিক্ষকদের সতর্ক দৃষ্টি স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারি নির্দেশনায়।
রোববার সকালে চট্টগ্রামের একাধিক স্কুল ঘুরে দেখা গেছে, দীর্ঘদিন পর শিক্ষক ও সহপাঠীদের কাছে পেয়ে উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরা।
সন্তানকে স্কুলে পৌঁছে দিতে আসা মিন্টু দেওয়ান নামের এক অভিভাবক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দেড় বছর কম সময় না। এতো সময় ঘরবন্দি থেকে তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ বাধা এসেছিল।
‘সবচেয়ে বড় কথা তাদের পড়াশোনা হচ্ছিল না। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই।’
হাজারবাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শামিমা আক্তার জাহান বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা আমাদেরই সন্তান। তাদের নিয়েই তো আমরা। ভার্চুয়াল মাধ্যমে আমাদের ক্লাস হতো, কিন্তু দীর্ঘদিন পর তাদের কাছে পাওয়া ঈদের আনন্দের চেয়ে কম নয়।
‘তবে সবচেয়ে বড় কথা শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা। আমাদের দেড় হাজারের মত শিক্ষার্থী হওয়ায় আমরা দুই শিফটে ক্লাস নিচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত প্রবেশ পথের পাশে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। সবার জন্য মাস্ক বাধ্যতামূলক। কেউ যদি মাস্ক না আনে তাকে স্কুল থেকে দেয়া হচ্ছে। আর প্রতিটা ক্লাসে এক বেঞ্চে একজন করে বসানো হচ্ছে।’