ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সবুজবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চিত্ত রঞ্জন দাসের একটি ব্যক্তিগত ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
মামলার বাদী সেই ভিডিওতে দেখা যাওয়া নারী নিজেই। মামলায় তিনি অভিযোগ করেছেন যৌন নির্যাতনের, আর চিত্ত রঞ্জন দাবি করেছেন, সেটি একটি নাটকের ভিডিও।
শনিবার সন্ধ্যায় সবুজবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুরাদুল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল হওয়াকে কেন্দ্র করে ওই ভুক্তভোগী নারী ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর চিত্ত রঞ্জন দাসের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ এনে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘চিত্ত রঞ্জন দাসকে এখনও গ্রেপ্তার করা হয় নাই। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।’
ভাইরাল হওয়া প্রায় তিন মিনিটের ভিডিওতে দেখা যায়, এক তরুণীকে নিজের দিকে ডাকছেন চিত্ত রঞ্জন। প্রথম দিকে ওই তরুণী হাসছিলেন। পরে তাকে বারবার জড়িয়ে ধরেন চিত্তরঞ্জন। পরে ওই তরুণী ছুটে এসে সোফায় বসেন। তার পর তারা আবার কথা বলেন।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে চিত্ত রঞ্জন দাস বলেন, ‘এটি মূলত একটি নাটকের সংলাপ। আমার এলাকার বরদেশ্বরী মন্দিরে চিত্রায়িত। ভিডিওটি খেয়াল করলেই বুঝবেন।... আমার চরিত্র ছিল মোড়লের আর তার (নারী) গ্রাম্য বধূর। কিন্তু এখন ষড়যন্ত্র করে আমার বিরুদ্ধে এসব ছড়ানো হচ্ছে।’
তবে এটি কোন নাটক, কোথায় সেটি প্রচার হয়েছে, সে বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেননি এই ওয়ার্ড কাউন্সিলর।