মাদারীপুরের ডাসারের এক কলেজছাত্রী অপহরণ মামলায় সাবেক এক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্যকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
জেলার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে শনিবার সকাল ১০টার দিকে নেয়া হলে বিচারক মোহাম্মদ হোসেন তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
ওই ইউপি সদস্যের নাম লিটন বাড়ৈ। তার বাড়ি ডাসার উপজেলার নবগ্রাম গ্রামে। তিনি নবগ্রাম ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার।
নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাদারীপুর আদালতের পুলিশ পরিদর্শক রমেশ চন্দ্র দাস।
পরিদর্শক বলেন, ‘পুলিশ লিটন বাড়ৈকে সাত দিনের রিমান্ডে চাইলে, বিচারক তা নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।’
কালকিনি উপজেলার সূর্যমনি গ্রামের একটি বাড়ি থেকে শুক্রবার বিকেলে লিটন বাড়ৈকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ সময় উদ্ধার করা হয় ওই ছাত্রীকে।
মামলার বরাতে পুলিশ জানায়, ১৫ আগস্ট ডাসার উপজেলার নবগ্রামে ঘটনাটি ঘটে। এদিন বিকেলে ওই ছাত্রী তার মামা বাড়িতে যাচ্ছিলেন। পথে তাকে অপহরণ করেন লিটন বাড়ৈ।
পরদিন ১৬ আগস্ট ওই তরুণীর মা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে একটি অপহরণ মামলা করেন। মামলায় আসামি করা হয় লিটন বাড়ৈ ও তার বাবা যুবরাজ বাড়ৈকে।
ওই ছাত্রীর মায়ের অভিযোগ, আগেও অনেক মেয়ের সঙ্গে এমন করেছে লিটন। তার বিরুদ্ধে মামলা করলে কিছুদিন পর জামিনে বাইরে এসে আবারও এ ধরনের কাজ করতেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমি ওর কঠিন বিচার চাই। ওর হাত থেকে মেয়েরা রক্ষা পাচ্ছে না।’
ডাসার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসানুজ্জামান জানান, লিটন বাড়ৈয়ের বিরুদ্ধে এর আগে এক কিশোরীকে অপহরণ ও ধর্ষণের মামলা রয়েছে। সে মামলায় জামিনে ছিলেন তিনি।