আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব, অপপ্রচার রোধে এক লাখ অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টের সমন্বয়ে একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরির কাজ হাতে নিয়েছে আওয়ামী লীগ।
আর এই অ্যাক্টিভিস্ট তৈরিতে জেলা পর্যায়ে ১০ হাজার মাস্টার ট্রেইনার তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে দলটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপকমিটি।
রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে শনিবার ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সব থানা কমিটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদকদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার কৌশল’ শীর্ষক কর্মশালা।
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় সার্বিক সহযোগিতা দিয়েছে আওয়ামী লীগের গবেষণা সেল সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই)।
এ সময় গুজব আর অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুর। তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হল জেলা পর্যায়ে ১০ হাজার মাস্টার ট্রেইনার তৈরি করা। আর এই মাস্টার ট্রেইনারদের দিয়ে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত এক লাখ অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট তৈরি করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘আগামী দিনে বাংলাদেশ যত উন্নত হতে থাকবে, আগামী নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে, তত বেশি গুজব অপপ্রচার ছড়ানোর চেষ্টা করবে প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী।’
বিএনপি-জামায়াতকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘বিশেষত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব অপপ্রচার ছড়িয়ে তারা জনগণকে বিভ্রান্ত করে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাধাগ্রস্ত করার জন্য চেষ্টা করবে। যেহেতু তারা রাজপথে পেরে উঠতে পারবে না, তাই তাদের একমাত্র হাতিয়ার হচ্ছে গুজব ও অপপ্রচার।’
প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী যেন আগামী দিনে কোনো প্রকার গুজব অপপ্রচারের মাধ্যমে সরকারের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত না করতে পারে সেজন্য অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টরা কাজ করবনে বলেও জানান তিনি।
সিআরআই-এর কো-অর্ডিনেটর তন্ময় আহমেদ বলেন, ‘সারা দেশে আমাদের এই প্রশিক্ষণ কর্মশালা চলমান রয়েছে। এর অংশ হিসেবে আজ ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদকদের নিয়ে কর্মশালা করা হচ্ছে। আগামীতে এই কর্মশালা ওয়ার্ড পর্যায়েও করা হবে।’
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক হোসেন মনসুর বলেন, ‘দেশের উন্নয়নকে চলমান রাখতে সরকারের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের ব্যাপকভাবে কাজ করতে হবে সঠিক তথ্য দ্রুততম সময়ের মধ্যে মানুষের দোড়গোড়ায় পৌঁছে দিতে।’