মানসিক স্বাস্থ্য এবং এর প্রভাব ও জটিলতা বিষয়ে সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে ওয়েবিনার করেছে আন্তর্জাতিক সংস্থা লেটস টক মেন্টাল হেলথ (এলটিএমএইচ)।
শুক্রবার আয়োজিত ওয়েবিনারে সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে মানসিক স্বাস্থ্যকে ঘিরে লজ্জা বা গ্লানি দূর করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
সংস্থার সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট আনুশা চৌধুরী জানান, মানসিকভাবে বিপর্যস্ত বোধ করা, বিষণ্নতা বা উদ্বেগে ভোগা বা অন্য যেকোনো মানসিক সমস্যার মধ্য দিয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের নিরাপদ ও একান্ত আস্থার জায়গা এলটিএমএইচ।
ওয়ার্কশপ, থেরাপি, কাউন্সেলিং ও প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে মানসিকভাবে অসুস্থদের সহযোগিতা দেয়ার চেষ্টা করে এলটিএমএইচ।
মানসিক অসুস্থতা নিয়ে অনেকে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন না। কারণ সমাজে শারীরিক অসুস্থতাকে গুরুত্ব দেয়া হলেও মানসিক সমস্যাকে কোনো ধরনের অসুখ হিসেবে এখনও মনে করা হয় না।
এ অবস্থা দূর করার চেষ্টা করছে এলটিএমএইচ। সমস্যাকে লুকিয়ে না রেখে এ বিষয়ে খোলাখুলি কথা বলায় উৎসাহ দিচ্ছে সংস্থাটি।
‘লেটস টক অ্যাবাউট: মেন্টাল হেলথ ফর অল’ শিরোনামের এই ওয়েবিনারে অংশ নেন মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞরা।
তাদের মধ্যে রয়েছেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক পারিসা শাকুর, ভারতীয় লেখক কার্তিকেয়া লাধা ও উন্নয়ন কর্মকর্তা লাবিব তাজোন উৎসব।
আন্তর্জাতিক এই ওয়েবিনারের সঞ্চালনায় ছিলেন ইউনিভার্সাল কলেজ বাংলাদেশের (ইউসিবি) প্রভাষক ফারিন দৌলাহ।
আলোচনাজুড়ে পারিসা শাকুর মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে প্রচলিত বিভিন্ন মিথ নিয়ে কথা বলেন। পাশাপাশি মানসিকভাবে অসুস্থদের বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতা নেয়ার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
চাপ কমানো ও চাপযুক্ত পরিস্থিতি কীভাবে মোকাবিলা করা যায়, সে বিষয়ে পরামর্শ দেন কার্তিকেয়া লাধা।
তিনি বলেন, ‘সবকিছুই ক্ষণস্থায়ী। অতিরিক্ত চিন্তা করার প্যাটার্ন থেকে আমাদের বের হওয়ার পথ খোঁজা জরুরি।’
ওয়েবিনারে লাবিব তাজোন উৎসব বলেন, ‘বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও সংস্থা মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করছে। তবে এ নিয়ে এখনও ঘাটতি রয়েছে। বিশেষ করে কিশোরদের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে আরও কাজ করা উচিত।’
প্রায় দেড় ঘণ্টার ওয়েবিনারে ফিলিপাইন, জাম্বিয়া, ভারতসহ বিভিন্ন দেশের বিশেষজ্ঞরা যোগ দেন।