চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে মুক্তিযুদ্ধের সময় যে ট্রান্সমিটার ব্যবহার করে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা সম্প্রচার করা হয়েছিল, সেটি জাদুঘরে রাখা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
শনিবার দুপুরে চট্টগ্রামে বাংলাদেশ বেতার চট্টগ্রাম কেন্দ্র পরিদর্শনের সময় তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা সম্প্রচারে ব্যবহৃত কালুরঘাটের সেই ট্রান্সমিটারটি এখন চট্টগ্রাম পুরোনো সার্কিট হাউসে রাখা হয়েছে। এটি কালুরঘাটে স্থাপিত স্বাধীনতা পার্কে ছোট্ট জাদুঘর করে রাখা হবে।
‘চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্র একটি ঐতিহাসিক কেন্দ্র। কারণ এখান থেকেই ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন তৎকালীন চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ হান্নান। পরে ২৭ মার্চ আওয়ামী লীগ নেতারা একজন সেনা অফিসারকে দিয়ে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করানোর জন্য মেজর জিয়াউর রহমানকে খুঁজে বের করে এনে তাকে দিয়ে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করানো হয়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতাসংগ্রামে রেডিও যেমন অনন্য ভূমিকা রেখেছে, একইভাবে দেশ গঠনেও রেডিও অনন্য ভূমিকা পালন করে চলেছে।
তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। ফাইল ছবি
‘বেতার যাতে দেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছে দিতে আরও জোরালো ভূমিকা রাখতে পারে, সে জন্য এর উন্নয়নে অনেক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে,’ যোগ করেন তিনি।
রাজনৈতিক নানা প্রসঙ্গেও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ। মন্তব্য করেন, বিএনপির নেতাদের ওপর কর্মীদের আস্থা নেই।
তিনি বলেন, “মির্জা ফখরুলদের ওপর কর্মীদেরই আস্থা নেই, বিএনপির কর্মীদের দ্বারাই তারা প্রচণ্ডভাবে সমালোচিত। যে দলের এই অবস্থা, সেই দলের মহাসচিব হুইসেল বাজালেই আন্দোলনে মানুষ ঝাঁপিয়ে পড়ার বক্তব্য হাস্যকর। বিএনপি কোনো একটা অনুষ্ঠান করতে গেলে নিজেদের মধ্যে মারামারির কারণে সে অনুষ্ঠান পণ্ড হয়।
‘‘উনার (মির্জা ফখরুল) বক্তব্যে মনে হচ্ছে উনি কিংবা 'সাত সমুদ্র তের নদীর’ ওপার থেকে তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হুইসেল বাজাবেন, তাহলেই মানুষ রাস্তায় নেমে পড়বে। আসলে মির্জা ফখরুল সাহেব যে জেগে জেগে স্বপ্ন দেখেন এবং প্রতিনিয়ত অবান্তর কথা বলেন, এই বক্তব্য সেটিরই হাস্যকর বহিঃপ্রকাশ।’’