নওগাঁর মহাদেবপুরে ‘টর্চার সেলে’ নার্সারি ব্যবসায়ী ও তার স্ত্রীকে নির্যাতনের ঘটনায় উপজেলা যুবদলের সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
রাজশাহীর ঘোষপাড়া মোড় এলাকার শ্বশুরবাড়ি থেকে শুক্রবার রাত ২টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার রুহুল আমিন মহাদেবপুরের দক্ষিণ হোসেনপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য।
নির্যাতনের শিকার মিঠুন চৌধুরী ও তার স্ত্রী শ্যামলী রানী একই এলাকার বাসিন্দা।
র্যাব-৫-এর অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল জিয়াউর রহমান শনিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, ঘটনার পর থেকে আত্মগোপনে ছিলেন রুহুল। তিনি শ্বশুরবাড়ি এসেছেন, এমন খবরে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে মহাদেবপুর থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মিঠুনের কাছ থেকে রুহুল চারাগাছ কিনতেন। টাকা নিয়ে তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। গত ১৫ আগস্ট সকালে টাকা দেয়ার নামে রুহুল পত্নীতলায় নিজের বয়লারের সামনে মিঠুনকে ডেকে টর্চার সেলে নেন।
সেখানে তাকে আটকে রেখে পরিবারের কাছে মুক্তিপণ দাবি করেন। মিঠুনের পায়ের রগ কেটে চিমটা দিয়ে হাতের আঙুল জখম করা হয়।
লেফট্যানেন্ট কর্নেল জিয়াউর আরও জানান, ১৭ আগস্ট মিঠুনের স্ত্রী শ্যামলী রানী তাকে খুঁজতে রুহুলের বয়লারে যান। সেখানে রুহুল ও তার দুই স্ত্রী শ্যামলীকেও নির্যাতন করে মাথার চুল কেটে দেন। খবর পেয়ে পুলিশ শ্যামলী ও তার স্বামীকে টর্চার সেল থেকে উদ্ধার করে।
১৯ আগস্ট মামলা করেন শ্যামলী। ২১ আগস্ট গ্রেপ্তার করা হয় রুহুলের দুই স্ত্রী রুবাইয়া আকতার বৃষ্টি ও মুক্তা পারভীনকে। জব্দ করা হয় রুহুলের প্রাইভেট কার ও সই নেয়া ফাঁকা স্ট্যাম্প। তবে পলাতক ছিলেন রুহুল।