চট্টগ্রামে বিদ্যালয় খোলার পর এর সামনে অভিভাবকদের জটলা না করার অনুরোধ জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান।
শনিবার সকালে কোতোয়ালি থানা এলাকার সরকারি ন্যাশনাল প্রাইমারি স্কুল এবং জামালখানের ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় পরিদর্শনের সময় এ অনুরোধ জানান তিনি।
জেলা প্রশাসক বলেন, ‘অভিভাবকরা যদি সন্তানকে স্কুলে দিয়ে চলে যান এবং ছুটি হলে নিতে আসেন, তাহলে সংক্রমণের ঝুঁকি অনেকটা এড়ানো সম্ভব। তাই অভিভাবকদের প্রতি অনুরোধ থাকবে তারা যেন স্কুলের বাইরে অপেক্ষা না করেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘করোনা মহামারির কারণে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গত দেড় বছরের বেশি ধরে বন্ধ ছিল। যেহেতু সংক্রমণ ক্রমান্বয়ে কমে এসেছে সে জন্য ১২ সেপ্টেম্বর থেকে সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
‘শিক্ষার্থীরা শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে শ্রেণি কার্যক্রম শুরু করবে। তারই আলোকে মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কমিটি করে দিয়ে প্রত্যেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করছি।’
প্রতিটি বিদ্যালয় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি রক্ষার সব ব্যবস্থা করা হয়েছে জানিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ও এর আশপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে রাখার পাশাপাশি স্যানিটাইজ করা হয়েছে। শ্রেণিকক্ষগুলো পুরোপুরি প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
‘স্কুলের সামনে ওয়াশ ব্লক স্থাপন করা হয়েছে, যাতে শিক্ষার্থীরা সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে স্কুলে বা শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করতে পারে। বেঞ্চগুলোতে জীবানুনাশক ছিটানো হয়েছে। প্রত্যেকে মাস্ক পরিধান করবে এবং শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে প্রতি বেঞ্চে একজন করে শিক্ষার্থী বসবে।’
স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় সবার সহযোগিতা প্রয়োজন এমন মন্তব্য করে জেলা প্রশাসনের প্রধান এই কর্মকর্তা জানান, গত দুই দিন ধরে উপজেলা পর্যায়ে ইউএনও, সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং মহানগর পর্যায়ে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিদর্শন করে পাঠদানে উপযোগী হিসেবে মত দিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো চালু হলে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের করণীয় বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সুনির্দিষ্টভাবে পরিপত্র জারি করেছে। সেই পরিপত্র অনুযায়ী মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে করা কমিটি মনিটরিং করবে।
স্কুল পরিদর্শনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মাহমুদ উল্লাহ মারুফ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওমর ফারুক, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গালিব চৌধুরী, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পীষুষ দত্ত, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জিয়াউল হায়দার হেনরী।