দেশের ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ-চাহিদা মেটাতে আরও পাঁচটি বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন করা হবে। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো থেকে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে ৭৭৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার সকাল ১০টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন।
বিদ্যুৎ বিভাগ জানায়, হবিগঞ্জের বিবিয়ানা-৩ কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে পাওয়া যাবে ৪০০ মেগাওয়াট, বাগেরহাটের মধুমতি কেন্দ্র থেকে ১০০ মেগাওয়াট, সিলেটের কুমারগাঁও কেন্দ্রের আপগ্রেডেশনের কারণে আসবে ৭৫ মেগাওয়াট, নারায়ণগঞ্জের মেঘনাঘাট বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ১০৪ মেগাওয়াট ও চট্টগ্রামের জুলদা থেকে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।
বিদ্যুৎ বিভাগের পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিদ্যুৎ বিভাগের উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় এই পাঁচ কেন্দ্রের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাণিজ্যিক উৎপাদন আগেই শুরু হলেও রোববার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে।’
পাওয়ার সিস্টেম মাস্টার প্ল্যান-২০১৬ অনুযায়ী, ২০২১ সালের মধ্যে ২৪ হাজার মেগাওয়াট, ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০ হাজার মেগাওয়াট ও ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
বিদ্যুৎ বিভাগ জানিয়েছে, ২০০৯ সালে দেশে বিদ্যুৎকেন্দ্র ছিল ২৭টি। এ বছরের আগস্ট পর্যন্ত সে সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৪৬টি। ওই সময় দেশের ৪৭ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় ছিল আর এখন তা প্রায় শতভাগ অর্থাৎ ৯৯ দশমিক ৫০ ভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায়।
২০০৯ সালে দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ছিল ৪ হাজার ৯৪২ মেগাওয়াট। ক্যাপটিভ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি মিলিয়ে এখন তা বেড়ে হয়েছে ২৫ হাজার ২৩৫ মেগাওয়াট।
এই ১২ বছরে বিদ্যুতের গ্রাহক ১ কোটি ৮ লাখ থেকে বেড়ে হয়েছে ৪ কোটি ৯ লাখ। গ্রাহক যেমন বেড়েছে তেমনি কমেছে সিস্টেম লস।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় বলছে, ১২ বছরে সিস্টেম লস ১৪ দশমিক ৩৩ থেকে কমে ৮ দশমিক ৪৮ হয়েছে।