করোনার কারণে বন্ধ থাকার ১৭ মাস পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হলেও ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে যে কোনো সময় আবার বন্ধ করে দেয়ার কথা আগেভাগেই জানিয়ে রাখছে সরকার।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পর শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনিও বলেছেন, চালুর পর কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি না মানা হলে তা বন্ধ করে দেয়া হবে। ওই প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নেয়া হবে।
২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বন্ধ রয়েছে। ১৭ মাস পর রোববার থেকে আবার চালুর ঘোষণা এসেছে স্কুল ও কলেজ। বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত আসেনি।
আগের দিন জামালপুর পৌর আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিয়ে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘করোনার সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা দেখা দিলে প্রয়োজনে আবার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হবে। কোনো প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্যবিধি না মানলে সেখানে পাঠদান সাময়িকভাবে বন্ধ করাও হতে পারে।’
গত কয়েক মাস ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার দাবি তুলেছেন নানা জন। তবে যুক্তরাষ্ট্রে স্কুল খোলার পর শিশুদের মধ্যে ব্যাপকভাবে করোনার বিস্তারের বিষয়টি তুলে ধরে ইংরেজি মাধ্যমে পড়ুয়াদের অভিভাবকরা এখন উদ্বেগের কথাও বলছেন।
রাজধানীতে সংবাদ সম্মেলন করে অভিভাবকদের সংগঠনের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ঘটনা তুলে ধরে সবাইকে টিকা দিয়ে পরে স্কুল খোলার অনুরোধ করা হয়েছে।
তবে শিশুদের করোনার টিকা প্রয়োগ এখনও শুরু হয়নি বিশ্বের কোথাও। পরীক্ষামূলকভাবে দুই এক জায়গায় চালানো হলেও গণটিকা হবে শুরু হবে, সেটি এখনও নিশ্চিত নয়।
দেশে করোনার প্রকোপ ক্রমেই কমে আসতে থাকলেও এখনও মৃত্যু আর শনাক্তের সংখ্যা কম নয়। শুক্রবারেও ২৪ ঘণ্টায় ৩৮ জনের মৃত্যুর তথ্য দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। শনাক্ত হয়েছে আরও ২ হাজার ৩২৫ করোনা রোগী।
মৃত্যুর এই সংখ্যা ৯২ দিনে সর্বনিম্ন আর পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার সবচেয়ে কম ১০৪ দিনে।
করোনার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন বন্ধ হয়ে থাকায় শিশুদের ঝরে পড়ার যে শঙ্কা দেখা দিয়েছে, সেই প্রসঙ্গও তুলে ধরেন মন্ত্রী। বলেন, ‘পারিবারিকভাবে খোঁজ নিয়ে এসব শিক্ষার্থীদের ফিরিয়ে আনা হবে।’
সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চেীধুরী। যোগ দিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলাল, তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানও।