ইংরেজি মাধ্যম স্কুল কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছেন অভিভাবকরা। পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করে কমিটি থেকে একে-অপরকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
একই ধরনের দাবি হলেও ইংরেজি মিডিয়াম স্কুলের অভিভাবকদের নিয়ে গঠিত ‘অভিভাবক ফোরাম’ দুই দলে ভাগ হয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আলাদাভাবে শুক্র ও শনিবার সংবাদ সম্মেলন করছে।
অভিভাবক ফোরামের একাংশ শনিবার সংবাদ সম্মেলন করে শিশু শিক্ষার্থীদের টিকা দিয়ে স্কুল খুলে দেয়াসহ ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের নানা অনিয়ম তুলে ধরে।
শুক্রবারও একই নামের সংগঠনের যারা সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন তাদের শনিবার বহিষ্কার করা হয়েছে।
আগের দিনই ফোরামের কয়েকজন সংবাদ সম্মেলন থেকে শনিবারের অভিভাবক ফোরামের সদস্যদের দুর্নীতিগ্রস্ত বলে অভিযোগ তোলেন। তাদের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা, কমিটির সভাপতি নিজের নামে একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল খুলে ব্যবসা পরিচালনা করছেন- এমন অভিযোগও তোলেন।
তবে শনিবারের সংবাদ সম্মেলনে অভিভাবক ফোরামের সভাপতি এ কে এম আশরাফুল হক বলেন, ‘যাদের অব্যাহতি দেয়া হয়েছে, তারা অনেক আগে থেকেই ভিন্ন মত নিয়ে কথা বলেছেন। ফেসবুকে আলাদা গ্রুপ খুলে প্রচারণা করেছেন। আমরা তাদের সময় দিয়েছি। তবে তারা কোনো জবাব দেয়নি। পরে কার্যনির্বাহী সভার সিদ্ধান্তে অব্যাহতি দেয়া হয়।’
নতুন স্কুল খোলা নিয়ে তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে যখন অন্য ইংরেজি মিডিয়াম স্কুল নানা ধরনের অনিয়ম ও অভিভাবকদের ওপর এক ধরনের চাপ প্রয়োগ করে আসছিল। সেই জায়গা থেকে আমরা নিজেরা উদ্যোগ নিয়ে এই স্কুল খুলেছি। আমরা আশা করছি, এই স্কুল দিয়ে অন্য স্কুলগুলো শিখতে পারবে যে কম খরচে পড়াশোনা করা যায়।’
যেসব দাবি
ধাপে ধাপে টিকা নিশ্চিত করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার প্রস্তুতি দেখে এবং করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে স্কুল খোলা।
ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে করোনাকালীন অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় অবশ্যই স্কুল ফি শ্রেণিভেদে ৩০-৫০ শতাংশ কমানো। সরকারি নির্দেশনা মেনে ২০১৭ সালে প্রকাশিত গেজেট অনুযায়ী স্কুল পরিচালনা করা।
স্কুলগুলোর শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় আরও কার্যকর নীতিমালা প্রণয়ন করা এবং কার্যক্রমের নজরদারি করতে সংস্থা গঠন করা। স্কুলগুলোর সুষ্ঠু পরিচালনা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে নির্বাচিত অভিভাবক প্রতিনিধি স্কুল ম্যানেজিং কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা।