চারদিকে ছড়ানো খড়-পাটকাঠি, স্তূপ করে রাখা গোবরভর্তি বস্তা। পিলারের সঙ্গে বাঁধা গরু-বাছুরের বিষ্ঠা ও নানা আবর্জনায় মেঝেতে কালচে দাগ পড়ে গেছে। এই চিত্র একটি গোয়ালঘরের, যা দেড় বছর আগেও ছিল বিদ্যালয়।
এর নাম রাজারচর বন্দরখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার এই স্কুলটি খোলার কথা রোববার, সারা দেশের অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গেই।
তবে করোনাকালে বন্ধ থাকায় এই বিদ্যালয় এখন গোয়ালঘর। পাঠদান চালুর জন্য এটি খালি করতে পারেনি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, স্কুলটিতে তারা যখন জিনিসপত্র রেখেছেন তখন স্কুলের কেউ কিছু বলেনি। এলাকায় পানি ওঠায় তারা এই খালি পড়ে থাকা ভবনে জিনিসপত্র রেখেছেন।
চারদিকে সীমানা প্রাচীর নেই বলে স্থানীয় লোকজন তাদের পশু ও বাড়তি ঘরের বাড়তি সরঞ্জাম এই ভবনে ফেলে রাখার সুযোগ পেয়েছেন বলে জানায় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাহেতুন নেছা গ্লোরী বলেন, ‘অনেকবার পরিষ্কার করেছি, কিন্তু পরিষ্কার করার পরের দিন আবার ময়লা করে ফেলে। বারবার নিষেধ করা সত্ত্বেও কথা মানছেন না কেউ।’
বিদ্যালয়ের সভাপতি আলী আযম হাওলাদার জানান, ‘এলাকার লোকজনকে আমি অনেকবার বুঝিয়েছি। অনেকবার বলেছি পরিষ্কার করার জন্য। আমার কথা তারা আমলে নিচ্ছে না। স্কুল খোলার আগেই সব পরিষ্কার করে দেয়া হবে।’
শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী স্ব-স্ব বিভাগকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। তারপরও কেউ বিষয়টি অবহেলা করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
‘বিষয়টি জানার পর প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছি।’