বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মানুষ আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়বে, নিশ্চয়তা পেয়েছেন ফখরুল

  •    
  • ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ২১:৪৪

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মানুষ সব দাঁড়িয়ে আছে, নিজের শক্তি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। যখনই শুরু হবে আন্দোলন, যখনই শুরু হবে সরকারকে পরাজিত করার যুদ্ধ তারা ঝাঁপিয়ে পড়বে এই নিশ্চয়তা আমি দেখেছি।’

সরকার পতনের আন্দোলনে মানুষ ঝাঁপিয়ে পড়বে এমন নিশ্চয়তা পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। নিজের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে আন্দোলনের বিষয়ে জনগণের ব্যাপক স্বতঃস্ফূর্ততা দেখে এমন নিশ্চয়তা পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

ফখরুল বলেছেন, ‘আমার অনেক বয়স হয়েছে। এরপরেও আমি খুব আশাবাদী মানুষ। আমি আরও আশাবাদী হয়েছি, গত তিন দিন আমার জেলায় পাঁচটি উপজেলা সফর করে। আমি দেখেছি মানুষের মধ্যে কী অভূতপূর্ব সাড়া।

‘মানুষ সব দাঁড়িয়ে আছে, নিজের শক্তি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। যখনই শুরু হবে আন্দোলন, যখনই শুরু হবে সরকারকে পরাজিত করার যুদ্ধ তারা ঝাঁপিয়ে পড়বে। এই নিশ্চয়তা আমি দেখেছি।’

শুক্রবার সন্ধ্যায় ২০১১ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী নিয়োগ পাওয়া প্রায় এক হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর চাকরিচ্যুতির দশ বছরপূর্তি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক ভার্চুয়াল সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ফখরুল বলেন, ‘আসুন, অতীতের যে আন্দোলনে আমরা জয়লাভ করেছি, সেগুলোর মতো করে জনগণের ঐক্য তৈরি করে একটি গণতান্ত্রিক আন্দোলন করি। এর মধ্য দিয়ে এদেরকে পরাজিত করে আমরা জনগণের একটা সরকার প্রতিষ্ঠা করি। আইনের শাসনের প্রতিষ্ঠা করি- এই হোক আজকে আমাদের শপথ।’

তিনি বলেন, ‘কখনোই ভেঙে পড়বেন না, সবচেয়ে খারাপ অবস্থার মধ্যে থেকে তো আমাদেরকে উঠে আসতে হবে। আমাকে জেগে উঠতে হবে, আমার আশপাশের মানুষগুলোকে জাগাতে হবে। আজকে আমার যারা তরুণ যুবক আছেন, তাদেরকে জাগাতে হবে। এই যুদ্ধে জয়লাভ করতে হবে- এর কোনো বিকল্প নেই এবং সেটা অতিদ্রুত করতে হবে। যতদিন যাবে ততই বাংলাদেশ, জাতি সব বিনষ্টের পথে যাবে।

‘আমাদের মনে রাখতে হবে, যারা আজকে এই ভয়াবহ একটা দানবীয় সরকারের মাধ্যমে আমাদেরকে নিষ্পেষণ করছে, নির্যাতন করছে তাদেরকে যদি আমরা প্রতিরোধ করতে না পারি, তাদের যদি আমরা ব্যর্থ করে দিতে না পারি, তাদেরকে যদি পরাজিত করতে না পারি, তাহলে এই অবস্থা কিন্তু চলতেই থাকবে। আমাদের কোনো সমস্যার সমাধান হবে না। সেজন্য আজকে সবচেয়ে বড় প্রয়োজন ঐক্য গড়ে তোলা।’

জাতীয় বিশ্ববি্দ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরিচ্যুতির ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থদের প্রতি একাত্মতা ও সমমর্মিতা প্রকাশ করে ফখরুল বলেন, ‘আজকের এই অনুষ্ঠানে আমাদের নেতা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাহেব আছেন। এটা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শুধু নয়, অন্যান্য দপ্তরগুলোতে, অন্যান্য বিভাগসহ বিভিন্নসহ জায়গায় বাংলাদেশকে ভালোবাসা মানুষগুলো চাকরিচ্যুত হয়েছে।

‘তারা মনের বল ফিরে পাবে। তারা শক্তি ফিরে পাবে। এই আশ্বাস যে, বিএনপি যদি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব জনগণের মাধ্যমে আবার ফিরে পায়, তাহলে তাদের সমস্ত সমস্যা সম্মানের সঙ্গে সমাধান করা হবে। এই বিষয়গুলো অবশ্যই আমাদেরকে আশান্বিত করে।'

আলোচনা সভায় ড. ফারুক আহমেদ শিপনের সভাপতিত্বে ও একেএম ওয়াহিদুজ্জামানের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আব্দুল মঈন খান, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিচ্যুতদের মধ্যে আতাউর রহমান, মজিবুর রহমান, আজিজুল হক, উর্মি রহমান, নুরুন্নাহার লাকী, ইয়াকুব মিয়া, আমির হোসেন, মিয়া হোসেন রানা, রবিউল ইসলাম রবি, আবদুল হালিম, আবু হানিফ খন্দকার, মামুনুর রহমান, আশরাফুল আলম ও আকরাম হোসেন।

এ বিভাগের আরো খবর