বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বঙ্গবন্ধুর সেই ছবি ‘শৌচাগারে নয়’

  •    
  • ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ২১:৩৬

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ওবায়দুল ইসলাম বলেন, ‘যে রুমটাকে ‘শৌচাগার’ বলা হচ্ছে; সেটি শ্রেণিকক্ষ। সেখানে করোনার আগেও পাঠদান হয়েছে। ১২ সেপ্টেম্বর থেকে আবারও হবে।’

গাইবান্ধার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘শৌচাগারে বঙ্গবন্ধুর ছবি’ শিরোনামে একাধিক গণমাধ্যমে যে খবর এসেছে, তার সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

মূলত শ্রেণিকক্ষকে ‘শৌচাগার’ আখ্যা দিয়ে বঙ্গবন্ধুর ছবির অবমাননার অভিযোগ এনে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে বলে দাবি স্কুলের শিক্ষক ও বিদ্যালয় কমিটির।

আলোচনায় আসা হরিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবস্থান সুন্দরগঞ্জ উপজেলায়। এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল আজিজের দাবি, বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পাঠদান কক্ষে বঙ্গবন্ধুর ছবি টাঙানো। সেই কক্ষের দেয়ালে ব্ল্যাকবোর্ড, বেঞ্চ, চেয়ার ও বিভিন্ন বর্ণ তালিকাও রয়েছে।

তিনি জানান, আগামী ১২ সেপ্টেম্বর বিদ্যালয় খোলার সিদ্ধান্ত হওয়ায় গত বুধবার থেকে শ্রেণিকক্ষ ধোয়ামোছার কাজ চলছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে হঠাৎ সংবাদকর্মী এসে সেই কক্ষটিকে ‘শৌচাগার’ ভেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি অবমাননা হয়েছে উল্লেখ করে সংবাদ ছেপেছেন।

বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানান, দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে বিদ্যালয়ে ৩টি কক্ষে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলছে। মূলত বিদ্যালয়টি তিস্তা নদীর পাড়সংলগ্ন হওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এ ছাড়া বিদ্যালয়ের সীমানাপ্রাচীরও নেই।

তারা আরও জানান, বিদ্যালয় ভবনের অফিস কক্ষ ও শ্রেণিকক্ষের মাঝের একটি কক্ষে নিরাপত্তার কথা ভেবে ১০ বছর আগে একটি নলকূপ বসানো হয়। নলকূপটির পাশে ৩ মাস আগে হাত ধোয়ার জন্য ৫টি ট্যাপ লাগানো হয়। করোনা মোকাবিলায় এই ট্যাপ বসানোর নির্দেশ দেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ কে এম হারুন-উর রশিদ।

স্থানীয়রা বলছেন, ১৮৮০ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিদ্যালয়ের সুনাম উপজেলাজুড়েই। নলকূপ ও ট্যাপ ভবনের বাইরে স্থাপন করা হলে চুরির শঙ্কা রয়েছে।

বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য রওশন আরা বেগম বলেন, ‘স্কুলের বিল্ডিংয়ে মোট চারটা রুম আছে। একটা অফিস রুম; বাকি তিনটা ক্লাসরুম। বিল্ডিংয়ে কোনো শৌচাগার নাই।’

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ওবায়দুল ইসলাম বলেন, যে রুমটাকে ‘শৌচাগার’ বলা হচ্ছে, সেটি শ্রেণিকক্ষ। সেখানে করোনার আগেও পাঠদান হয়েছে। ১২ সেপ্টেম্বর থেকে আবারও হবে।

তিনি বলেন, ‘কক্ষটিতে লেখার ব্ল্যাকবোর্ড, বেঞ্চ, চেয়ার ও বর্ণ চার্টও রয়েছে। একটা টিউবওয়েল আছে; সেটার বয়স ১০ বছর। শিক্ষা অফিসার স্যার পানির অপব্যবহার ও নিরাপত্তার জন্য রুমেই পানির ট্যাপ বসাতে বলেছেন। এখানে বঙ্গবন্ধুর ছবি অবমাননার প্রশ্নেই ওঠে না।’

প্রধান শিক্ষক আবদুল আজিজ বলেন, ‘শ্রেণিকক্ষে জাতির জনকের ছবি রাখা হয়েছে। শ্রেণিকক্ষের এক সাইডে ট্যাপ বসানো হয়েছে; এতে পাঠদানে কোনো সমস্যাও হবে না।’

বিদ্যালয় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজের টাইমে এসে শ্রেণিকক্ষের ভেতর টিউবওয়েল ও পানির ট্যাপ দেখে তারা (সংবাদকর্মী) শৌচাগার ভেবে নিয়েছেন। বারবার বিষয়টি পরিষ্কার করা হলেও তারা শোনেননি।

এ নিয়ে বক্তব্য জানতে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ কে এম হারুন-উর রশিদের ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

এ বিভাগের আরো খবর