মানিকগঞ্জ জেলা যুবলীগের কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ায় ৯০ দিনের জন্য আহ্বায়ক কমিটি দিয়েছিলেন তৎকালীন কেন্দ্রীয় সভাপতি মোহাম্মদ ওমর ফারুক ও সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ।
এরপর চলে গেছে আড়াই বছর। তবে মূল কমিটি করা যায়নি। এমনকি আড়াই বছরে সাত উপজেলার মাত্র দুটিতে সম্মেলন করেছে এ কমিটি।
জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটি থেকে জানা যায়, ২০১৯ সালের ৬ মে আবদুর রাজ্জাককে আহ্বায়ক ও মাহাবুবুর রহমান জনিকে যুগ্ম আহ্বায়ক এবং ২৩ জনকে সদস্য করে এ কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়। সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুসরণ করে নির্ধারিত সময়ে জেলার সব উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড শাখার কাউন্সিল শেষ করার নির্দেশনাও দেয়া হয়েছিল এ কমিটিকে।
স্থানীয় যুবলীগ নেতা-কর্মীরা জানিয়েছেন, আহ্বায়ক কমিটি গঠনের পরের ৯০ দিনের মধ্যে কোনো সম্মেলনই হয়নি। নেতা-কর্মীদের শুভেচ্ছা আর অভিনন্দন নিতেই পার হয় অর্ধেক সময়। এরপর নানাভাবে কেটে যায় বাকি সময়। এই দীর্ঘ আড়াই বছরে শুধু সিঙ্গাইর ও ঘিওর উপজেলায় সম্মেলন করেছে আহ্বায়ক কমিটি।
জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি সুদেব কুমার সাহা জানান, জেলার সব উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের কমিটি করতে গেলে ৯০ দিনের বেশি সময় লাগে, কিন্তু আড়াই বছর লাগার কথা না। আর আহ্বায়ক কমিটির মেয়াদ যত বেশি হবে, নেতা-কর্মীদের মাঝে তত বেশি ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। কারণ আহ্বায়ক কমিটি ছোট হওয়ায় অনেকেই পদ পান না। এতে দলের মিছিল, মিটিং ও অন্যান্য অনুষ্ঠানে বাকিদের আগ্রহ কমে যায়।
যুবলীগ নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, সময়ক্ষেপণ করে ৯০ দিনের কমিটি আড়াই বছর ধরে দায়িত্বে আছে। কারণ এখন যারা আহ্বায়ক কমিটিতে আছেন, পূর্ণাঙ্গ কমিটি হলে তাদের অনেকের পদ থাকবে না। এ জন্যই পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেয়া হয় না। সব আহ্বায়ক কমিটিই এভাবে চলে।
কমিটির আহ্বায়ক আবদুর রাজ্জাকের দাবি, কমিটি গঠনের পর সবাই মিলে কাজ শুরু করেন এবং সিঙ্গাইর ও ঘিওর উপজেলায় সম্মেলন করেন। করোনা পরিস্থিতির কারণে বাকি পাঁচ উপজেলায় সম্মেলন করা যায়নি। তবে এ সময় সব রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন এবং ব্যক্তি উদ্যোগে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
পূর্ণাঙ্গ কমিটির বিষয়ে তিনি জানান, দেশে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আলোচনা করে দ্রুত সম্মেলনের ব্যবস্থা করা হবে।