দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ২৪৮ জন। এনিয়ে চলতি বছরে মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১৩ হাজার ২৫৫ জন। এরমধ্যে মারা গেছে ৫৪ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে শুক্রবার বিকেলে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কন্ট্রোল রুমের তথ্য বলছে, ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৪৮ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। চলতি মাসে প্রথম ১০ দিনে ডেঙ্গু আক্রান্তের চিত্র উদ্বেগজনক।
শুক্রবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশনস সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে জানানো হয়, আগের ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু নিয়ে শুধু ঢাকা বিভাগের হাসপাতালগুলোতেই ভর্তি হয়েছে ২১৪ জন। অন্য বিভাগের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছে ৩৪ জন।
চলতি বছর ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ১৩ হাজার ২৫৫ জনের মধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছে ১১ হাজার ৯৮০ জন। বর্তমানে ভর্তি রয়েছে ১ হাজার ২২১ জন। এদের মধ্যে ঢাকার ৪১টি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১ হাজার ৪১ ডেঙ্গু রোগী।
রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) জানিয়েছে, ডেঙ্গু উপসর্গ নিয়ে চলতি বছর ৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে গত সাত মাসে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আগস্টে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়। চলতি মাসের ১০ দিনে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
২১ বছর ধরে দেশে ডেঙ্গুর সার্বিক বিষয় নিয়ে তথ্য জানাচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২০১৯ সালে ডেঙ্গুর প্রকোপ মারাত্মক আকার ধারণ করে। সেই বছর এক লাখের বেশি মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। মারা যায় ১৪৮ জন। ডেঙ্গুতে এত মৃত্যু আর কখনও দেখেনি দেশ।
এর আগে ডেঙ্গুতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু হয় ২০০২ সালে, তখন ৫৮ জনের মৃত্যুর সংবাদ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ ছাড়া ২০০১ সালে ৪৪ জন মারা যায়। ২০১৯ সালে ডেঙ্গু ভয়ংকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করলেও করোনা মহামারির মধ্যে ২০২০ সালে ডেঙ্গু তেমন প্রভাব ফেলতে পারেনি। তবে এবার উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী।