চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে যানজটে আটকে পড়ায় ১৩ হকারকে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয়রা বলছেন, ওই হকারদের পুলিশে দিয়েছেন চট্টগ্রাম-৮ আসনের সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন আহমদ।
তবে এ ঘটনায় ভিন্ন কথা বলছেন সাংসদ মোছলেম। তার দাবি, যানজটের কারণে পুলিশই ওই হকারদের আটক করেছে, এর বেশি কিছু না।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বোয়ালখালীতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অতিক্রম করার সময় যানজটে পড়েন সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন। এ সময় গাড়ি থেকে নেমে রাস্তার পাশে বসা হকারদের উচ্ছেদের নির্দেশ দেন। পরে তিনি নিজেই উচ্ছেদ অভিযানের নেতৃত্ব দিয়ে ১৩ জন ভাসমান হকারকে পুলিশে দেন।
সংসদ সদস্যের ব্যক্তিগত সহকারী মো.মামুন জানান, মোছলেম উদ্দিন বোয়ালখালীর একটি সড়ক উদ্বোধনের জন্য কড়লডেঙ্গা ইউনিয়নে যাচ্ছিলেন।
বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল করিম বলেন, ‘উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গেটের সামনে সড়ক দখল করে মালামাল রেখে জনসাধারণ ও যান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করায় ওই হকারদের আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলার পর আদালতে পাঠানো হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বারবার এসব ভাসমান হকারকে উচ্ছেদ করলেও তারা আবারও সংঘবদ্ধ হয়ে ফুটপাত ও সড়ক দখল করে বসে পড়ে। শুক্রবার সড়কে এমপির গাড়িও আটকে পড়েছিল।’
স্থানীয় সংবাদকর্মী পূজন সেন বলেন, ‘উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে বুড়িপুকুর পাড় এলাকা পর্যন্ত ভাসমান হকার ও অপরিকল্পিত গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য প্রায় দিনই যানজট লেগে থাকে। দুই মিনিটের রাস্তা যেতে আধা ঘণ্টা লেগে যায়। এতে অফিস ও হাসপাতালগামী মানুষকে ভোগান্তিতে পড়তে হয়।’
তবে হকারকে পুলিশের দেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন সাংসদ মোছলেম উদ্দিন আহমদ।
তিনি বলেন, ‘আমরা সেদিকে যাচ্ছিলাম। পথে যানজট ছিল। হয়তো পুলিশ ওই সব হকারকে আটক করেছে। এর বেশি কিছু না।’