গাছ কেটে পাখি হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন হয়েছে নওগাঁয়।
শহরের মুক্তির মোড়ে শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে স্থানীয় সামাজিক সংগঠন একুশে পরিষদের আয়োজনে এই কর্মসূচি পালিত হয়।
সংগঠনের সভাপতি ডি এম আবদুল বারীর সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন উপদেষ্টা বিন আলী পিন্টু, আবদুস ছাত্তার মণ্ডল, অধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম খানসহ আরও অনেকে।
আবদুল বারী বলেন, ‘আমাদের পরিবেশের ক্ষতি করে এমন উন্নয়ন মানা যায় না। এসব উন্নয়নের নামে জীববৈচিত্র্য ধ্বংস করলে সাধারণ মানুষ মেনে নেবে না।
‘প্রকৃতি রক্ষার জন্য পর্যাপ্ত সবুজায়ন করা হচ্ছে। করোনা মহামারির ঠিক সেই মুহূর্তে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের গাছ কেটে পাখিগুলোকে হত্যা করা হলো। এভাবে যদি প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংস করার উৎসবে সবাই মেতে ওঠে, তবে নিজেদের অস্তিত্ব সংকটে পড়বে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই।’
সম্প্রতি রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে নালা নির্মাণ ও গাড়ি রাখার চত্বর তৈরি করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বন বিভাগের মাধ্যমে ২৭টি গাছ কাটে।
গত ৪ সেপ্টেম্বর হাসপাতালের সামনে নালা নির্মাণের জন্য একটি অর্জুনগাছ কাটা হয়। এতে গাছ থেকে পড়ে যায় শামুকখোল পাখির শতাধিক ছানা। বেশির ভাগ ছানা সঙ্গে সঙ্গে মারা গেলেও যেগুলো বেঁচে ছিল, সেগুলো খাওয়ার জন্য নিয়ে যান নির্মাণশ্রমিক ও রোগীর স্বজনরা।
এ খবর গণমাধ্যমে প্রকাশের পর ফুঁসে ওঠেন পরিবেশবাদীরা। নওগাঁয় বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যরা এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানান।