করোনার সংক্রমণ ক্রমেই কমতে থাকার মধ্যে এবার ৯২ দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হারও সাড়ে তিন মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন।
শুক্রবার অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ২৪ ঘণ্টায় এই ভাইরাসে সারা দেশে মৃত্যু হয়েছে ৩৮ জনের। এর আগে গত ৯ জুন ২৪ ঘণ্টায় ৩৬ জনের মৃত্যুর তথ্য জানানো হয়েছিল। আর ১৫ জুনের পর মৃত্যুর সংখ্যা ৫০-এর নিচে নামল।
সব মিলিয়ে গত বছরের ৮ মার্চ করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ার পর এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২৬ হাজার ৮৩২ জনের।
এই ২৪ ঘণ্টায় ভাইরাসটিতে নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ৩২৫ জন। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৮.৬৫ শতাংশ।
শনাক্তের এই হারও ১০৪ দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে গত ২৯ মে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ছিল ৭.৯১ শতাংশ।
এখন পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে ১৫ লাখ ২৭ হাজার ২১৫ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছে ৩ হাজার ৮৫৬ জন। এ নিয়ে প্রাণঘাতী রোগটি থেকে সুস্থ হয়েছে ১৪ লাখ ৭২ হাজার ৭৯০ জন। সুস্থতার হার ৯৬ দশমিক ২৮।
গত এক দিনে মৃতদের মধ্যে পুরুষ ২০ জন ও নারী ১৮ জন। তাদের মধ্যে ত্রিশোর্ধ্ব তিনজন, চল্লিশোর্ধ্ব পাঁচ, পঞ্চাশোর্ধ্ব ছয়, ষাটোর্ধ্ব ১০, সত্তরোর্ধ্ব ও অশীতিপর আটজন। মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
বিভাগ অনুযায়ী সর্বোচ্চ ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এরপরই রয়েছে চট্টগ্রাম। এই বিভাগে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া খুলনায় পাঁচ, রাজশাহীতে দুই, সিলেটে ও রংপুরে এক এবং ময়মনসিংহে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।
দেশে করোনা সংক্রমণ বেশ কিছু দিন ধরেই কমের পথে। টানা দুই সপ্তাহ ধরে মৃত্যুর সংখ্যাও ১০০-এর নিচে রয়েছে। তবে সংক্রমণের মাত্রা এখনও ৫ শতাংশের ওপরে।
এমন পরিস্থিতিতেও ঝুঁকি নিয়ে আগামী সপ্তাহ থেকে শিক্ষার্থীদের সশরীরে পাঠদান চালু করছে সরকার। তবে সংক্রমণের তীব্রতা ফের বাড়লে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজে ডেন্টাল ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে শুক্রবার সকালে তিনি এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে সংক্রমণ যদি আশঙ্কাজনক হারে বাড়ে, তাহলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করার ব্যবস্থা নেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আর আমরাও সেভাবেই পরামর্শ দেব। যদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার পরে আমাদের ছেলে-মেয়েরা সংক্রমিত হয়, তাহলে অবশ্যই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হবে।’