বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শিশুদের টিকা দিয়ে স্কুল খোলার দাবি অভিভাবকদের

  •    
  • ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৬:১৬

‘আমরা চাই আমাদের বাচ্চাদের টিকা নিশ্চিত করতে। আমরা স্কুল খুলে দেয়াকে স্বাগত জানাচ্ছি। তবে এটা এক ধরনের ম্যাসাকার (বড় ভুল) হবে, যদি তাদের টিকার আওতায় না নিয়ে আসা যায়। যুক্তরাষ্ট্রে স্কুল খুলে দেয়ার পর এক দিনে আড়াই লাখ বাচ্চা আক্রান্ত হয়েছে।’

যুক্তরাষ্ট্রে স্কুল খুলে দেয়ার পর শিশুদের মধ্যে করোনার ব্যাপক বিস্তারের কথা উল্লেখ করে সরকারের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা।

প্রায় ১৭ মাস পর রোববার থেকে স্কুল খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত এসেছে। তার দুই দিন আগে শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে উদ্বেগের কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল প্যারেন্টস ফোরাম নামে একটি সংগঠন।

শিশুদের করোনার টিকা নিশ্চিত করার পরেই স্কুলে পাঠানোর দাবি করা হয় সংবাদ সম্মেলনে।

সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক মঞ্জুর সাকলায়েন বলেন, ‘আমরা চাই আমাদের বাচ্চাদের টিকা নিশ্চিত করতে। আমরা স্কুল খুলে দেয়াকে স্বাগত জানাচ্ছি। তবে এটা এক ধরনের ম্যাসাকার (বড় ভুল) হবে, যদি তাদের টিকার আওতায় না নিয়ে আসা যায়। যুক্তরাষ্ট্রে স্কুল খুলে দেয়ার পর এক দিনে আড়াই লাখ বাচ্চা আক্রান্ত হয়েছে।’

স্কুলে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ

সংবাদ সম্মেলনে ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলগুলোর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগও আনা হয়। অভিভাবকরা দাবি করেন, এসব সমস্যা নিয়ে তারা প্রিন্সিপালদের সঙ্গে আলোচনাও করতে পারেন না।

প্যারেন্টস ফোরামের সদস্য রিয়াজ আনোয়ার বলেন, ‘আমরা কখনও বাচ্চাদের স্কুলে গিয়ে কোনো সমস্যার কথা তুলে ধরতে পারি না। স্কুলের কর্তৃপক্ষ কখনও আমাদের সঙ্গে কথা বলে না। প্রিন্সিপাল অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলেন না।

‘স্কুলে গেলেও প্রিন্সিপাল বা ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে কথা বলা যায় না। তারা কী চায় আমরা জানি না। আমাদের বাচ্চারা এখান থেকে কী শিখবে? আমরা তো সেই শিক্ষা দিচ্ছি না। শুধু বস্তাভর্তি বই নিয়ে বসে থাকা।’

বাংলাদেশ ইংরেজি মিডিয়াম স্কুল প্যারেন্টস ফোরাম দেড় বছর আগে তাদের কমিটি গঠন করে। তবে সেই কমিটি ভেঙে দিয়ে শুক্রবার তারা নতুন কমিটির আত্মপ্রকাশ করেছে।

এই কমিটির আহ্বায়ক ব্যারিস্টার আফরোজা আক্তার বলেন, ‘২০১৭ সালে বিদেশি কারিকুলামে পরিচালিত বেসরকারি বিদ্যালয়ের নিবন্ধন বিধিমালা করা হয়েছে। আমরা বারবার বলেছি এই আইন করলে হবে না, এটার বাস্তবায়ন করতে হবে। অনেকেই বলেন যে টাকা থাকলে পড়াবে না হলে পড়াবে না। এটা ঠিক না। এটা আমাদের চয়েস। আমরা তো আমাদের টাকা খরচ করছি। এই আইন করা হলেও সেটা মানা হয় না। কোনো স্বচ্ছতা বা জবাবদিহি নেই। কোনো স্কুলেই আইনের বাস্তবায়ন নেই।’

তিন দাবি

গত বছরের মার্চ মাস থেকে স্কুল বন্ধ ও পরে অনলাইন ক্লাস চালু হলে স্কুলের পরিচালনা ব্যয় কমে যায়। অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের জন্য ল্যাপটপ, কম্পিউটার, ডাটা বা ওয়াই-ফাই নিশ্চিত করতে অভিভাবকদের খরচ বেড়েছে।

যেসব স্কুলের নিজস্ব ক্যাম্পাস আছে তাদের অন্তত ৫০ শতাংশ, আর যেসব স্কুল ভাড়া বাড়িতে চলে, তাদের অন্তত ৩০ শতাংশ টিউশন ফি হ্রাস করা এবং সব ফি যৌক্তিক করার দাবি জানানো হয়।

করোনাকালে বকেয়া টিউশন ফির জন্য ক্লাস থেকে বঞ্চিত না করা বা পরীক্ষার ফলাফল স্থগিত না করে কিস্তিতে বকেয়া পরিশোধের দাবিও জানানো হয়।

এ বিভাগের আরো খবর