অক্টোবর থেকে বিদেশি চ্যানেলের ক্লিনফিড বা বিদেশি বাণিজ্যিক কনটেন্ট, বিজ্ঞাপন প্রচারের ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করতে যাচ্ছে সরকার। বিষয়টি ভারতের তথ্যমন্ত্রীকে জানানোর কথা বলেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহ্মুদ।
চার দিনের ভারত সফর শেষে শুক্রবার নিজ বাসভবনে এক ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান মন্ত্রী।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীকে আমি অবহিত করেছি, ১ অক্টোবর থেকে দেশে ক্লিনফিডের আইন আমরা কড়াকড়িভাবে বাস্তবায়ন করব। কারণ আমাদের দেশে বিভিন্ন দেশের বেশ কয়েকটি চ্যানেল দেখানো হয়। এগুলো ক্লিনফিড ছাড়া।
‘আইন অনুযায়ী ক্লিনফিড দেখাতে হয়, এটি না করে তারা আইন ভঙ্গ করছে।’
ক্লিনফিড নিশ্চিত করা হলে দেশে কোনো বিদেশি টেলিভিশন চ্যানেলের সম্প্রচারে বিদেশি কোনো বিজ্ঞাপন বা অন্যান্য কোনো বাণিজ্যিক কনটেন্ট থাকবে না। বিষয়টি নিশ্চিত করতে দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছিল অ্যাটকো, টিভি চ্যানেল ডিস্ট্রিবিউটর ও কেব্ল অপারেটররা।
এ সময় সফরের বিস্তারিত গণমাধ্যমের সামনে তুলে ধরেন তথ্যমন্ত্রী। জানান, প্রেস ক্লাব অফ ইন্ডিয়াতে বঙ্গবন্ধু সেন্টার স্থাপন করার কথা।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রেস ক্লাব অফ ইন্ডিয়াতে বঙ্গবন্ধু মিডিয়া সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে, যেটি আমি উদ্বোধন করেছি। সেখানে শুধু বঙ্গবন্ধু মিডিয়া সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে এমন নয়, বঙ্গবন্ধুর একটি পোর্ট্রেট স্থাপন করা হয়েছে। এমন জায়গায় সেটি স্থাপন করা হয়েছে যেটি প্রাইম।’
এ ছাড়া দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সচিবের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দ্বিপাক্ষীয় আলোচনা হয়েছে। বিশেষত দুই দেশের মধ্যে কানেক্টিভিটি নিয়ে যেসব প্রজেক্ট চলছে, সেগুলো যেন দ্রুত বাস্তবায়ন হয় তা নিয়ে আলোচনা করা হয় বলে জানান তিনি।
ব্রিফিংয়ে বিএনপি নেতাদের সমালোচনা করেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি মির্জা ফখরুল ইসলামের সাম্প্রতিক এক বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘তিনি (মির্জা ফখরুল) যে দলের নেতৃত্ব দেন সেটি হচ্ছে এমন একটি দল, যার প্রতিষ্ঠাতা মানুষের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে ক্ষমতা দখল করেছিলেন।
‘বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে অপ্রত্যাশিতভাবে জড়িত ছিলেন। সেনাবাহিনীর নিরপরাধ অফিসার ও জোয়ানদের হত্যা করে, শত শত নয়, হাজারে হাজারে হত্যা করে সে লাশের ওপরে দাঁড়িয়ে দেশ পরিচালনা করেছেন।’
হাছান মাহ্মুদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে জিয়াউর রহমানের সময়। এরপর বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে মির্জা ফখরুল সাহেবরা মানুষের ওপর পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে মানুষ হত্যা করেছে, সেই দলের নেতা মির্জা ফখরুল সাহেব যে কথাটি বলেছেন সেটি বিএনপির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, অন্য কারও বেলায় নয়।’
গত ৫ সেপ্টেম্বর চার দিনের সফরে ভারতে যান তথ্যমন্ত্রী। তিনি দেশে ফেরেন ৮ সেপ্টেম্বর।