যুক্তরাষ্ট্রের ম্যারিল্যান্ডের বাল্টিমোরের একটি সড়ক থেকে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের নামফলক সরিয়ে দেয়া হয়েছে।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার নামফলক সরানোর সিদ্ধান্ত নেয় বাল্টিমোর সিটি কর্তৃপক্ষ।
ওই দিন সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ব্রিফিংয়ে বলা হয়, “শুভ সন্ধ্যা। আজকে অত্যন্ত আনন্দের সাথে জানানো যাচ্ছে যে, ম্যারিল্যান্ডের বাল্টিমোর সিটিতে ‘জিয়াউর রহমান ওয়ে’ নামে যে রাস্তার নামকরণ করা হয়েছিল, তা আজ বাতিল ঘোষণা করে তাৎক্ষণিকভাবে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। বাংলাদেশের স্বঘোষিত রাষ্ট্রপতি, সেনাপ্রধান ও প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক জেনারেল জিয়াউর নামে রাস্তার নামকরণ হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী পরিবার, কংগ্রেস অফ বাংলাদেশি আমেরিকান, শেখ হাসিনা মঞ্চ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগ, মহিলা লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ ও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সংগঠনসমূহের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।
“বাল্টিমোর মেয়র অফিসে প্রতিবাদ জানিয়ে অসংখ্য ইমেইল, চিঠি ও ফোনকল করে অব্যাহত প্রতিবাদ জানানো হয় এবং একটি সাক্ষাৎকার চেয়ে আবেদন করা হয়।”
ব্রিফিংয়ে বলা হয়, ‘আজ ৯ সেপ্টেম্বর দুপুর ২ ঘটিকায় ভার্চুয়াল মিটিংয়ে খুনি জিয়ার সকল অপকর্ম প্রমাণসহ তুলে ধরা হয়। একজন ঠান্ডা মাথার খুনি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবার-পরিজন, জেলখানায় বন্দি জাতীয় চার নেতা হত্যা, হাজার হাজার সেনা, বিমান, নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ও জওয়ানকে বিনা বিচারে হত্যা করে। সংবিধান স্থগিত করে দেশে জংলি শাসন কায়েম করে।
‘এমন একজন স্বৈরশাসকের নামে যুক্তরাষ্ট্রের মতো গণতান্ত্রিক দেশে কোনো স্থাপনার নাম হতে পারে না। ২০২০ সালের ১৬ জুন বাল্টিমোর সিটি কাউন্সিল কনফেডারেট সৈনিকদের প্লাক সকল স্থাপনা থেকে সরিয়ে দেয়ার আইন পাস হয়েছে। সেই শহরে সামরিক শাসক জিয়ার নামে রাস্তার নামকরণ হতে পারে না।’
ব্রিফিংয়ে উল্লেখ করা হয়, ‘মিটিং চলাকালেই বাল্টিমোর সিটি কর্তৃপক্ষ আমাদের দাবির সাথে একমত হয়ে জিয়ার নামে রাস্তার সাইন নামিয়ে ফেলার কথা বলেন। ইতোমধ্যেই তা নামিয়ে ফেলা হয়েছে।’
ভার্চুয়াল মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন ড. প্রদীপ রঞ্জন কর, শামীম চৌধুরী, প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী, অ্যাডভোকেট শাহ মো. বখতিয়ার, এস এ করিম জাহাঙ্গীর, মঞ্জুর চৌধুরী, জালাল উদ্দিন জলিল, টি মোল্লা, রুমানা আক্তার, সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দীন চৌধুরী মানিক, কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের ট্রাস্টি বোর্ডের উপদেষ্টা মোহাম্মদ এ আরাফাত, সিটির প্রতিনিধি ক্যাটলিনা রড্রিগেজ, ডেভিড লিয়াম, শহীদুল ইসলামসহ অনেকে।