বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চিকিৎসকের অবহেলায় নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ

  •    
  • ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১০:১৯

সুমির বাবা শাহাজান শাহা জানান, অস্ত্রোপচারের পর ছেলে অসুস্থ হয়ে পড়লেও তার চিকিৎসায় উদ্যোগ নেয়নি ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। পরের দিন বিকেলে জুনিয়র কনসালট্যান্ট হাবিবুর রহমানকে দেখালে তিনি শিশুটির পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে একটি ব্যবস্থাপত্র দেন। তবে চিকিৎসক শাওন ওই ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী ওষুধ না দিয়ে তা পাল্টে দেন। এতেই শিশুটি নড়াচড়া বন্ধ করে দেয়।

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় চিকিৎসকের অবহেলায় ক্লিনিকে এক নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে।

উপজেলার আনন্দধাম নার্সিংহোমে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে জন্মের তিন দিন পর বৃহস্পতিবার রাতে মারা যায় ওই নবজাতক।

নবজাতকের পরিবারের সদস্যরা জানান, উপজেলার ভোদুয়া গ্রামের সুমি খাতুনের প্রসববেদনা শুরু হলে ৬ সেপ্টেম্বর তাকে আলমডাঙ্গার আনন্দধাম নার্সিহোমে ভর্তি করা হয়। ওই দিন সন্ধ্যা ৬টার দিকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে পুত্র সন্তানের জন্ম দেন সুমি।

অস্ত্রোপচার করেন ক্লিনিকের মালিক শরিফুল ইসলামের ছেলে মোহাম্মদ শাওন ও এনামুল নামের এক সহকারী। অ্যানেসথেসিয়া দেন কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের কনসালট্যান্ট আব্দুস সালাম।

সুমির বাবা শাহাজান শাহা নিউজবাংলাকে জানান, সিজারিয়ানের পর শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লেও তার চিকিৎসায় উদ্যোগ নেয়নি ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। পরের দিন বিকেলে শিশুটিকে অন্য একটি হাসপাতালের জুনিয়র কনসালট্যান্ট হাবিবুর রহমানের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়।

তিনি আরও জানান, হাবিবুর শিশুটির পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে একটি ব্যবস্থাপত্র দেন। তবে চিকিৎসক শাওন ওই ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী ওষুধ না দিয়ে তা পাল্টে দেন। এতেই শিশুটি নড়াচড়া বন্ধ করে দেয়। শুধু তাই নয়, পরিবারের লোকজন শাওনের সঙ্গে কথা বলতে গেলেও খারাপ ব্যবহার করেন তিনি।

একপর্যায়ে মৃত নবজাতককে আটকে ক্লিনিকের যাবতীয় বিল আদায় করে নেন বলেও অভিযোগ করেন ওই পরিবারের সদস্যরা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সব অভিযোগ অস্বীকার করে আনন্দধাম নার্সিহোমের চিকিৎসক মোহাম্মদ শাওন বলেন, ‘শিশুটিকে সঠিকভাবেই পরিচর্যা দেয়া হচ্ছিল। এতে আমাদের কোনো ত্রুটি ছিল না। সুমির পরিবার মিথ্যা অভিযোগ করছেন।’

আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর কবীর জানান, এ ঘটনায় এখনও কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিভাগের আরো খবর