বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রাতের পায়রায় ঝলমলে সেতু

  •    
  • ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০৮:৪৯

সেতুর প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী আবদুল হালিম জানান, পায়রা সেতুর কাজ প্রায় ৯৯ ভাগ শেষ। সেতুটি দুইটি অ্যাবাটমেন্ট ও ৩১টি পিলারের উপর দাঁড়িয়ে। চলতি মাসেই এটি যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।

রাতের ঘুটঘুটে অন্ধকারে দূর থেকে দেখা গেল বিন্দু বিন্দু আলোর সারি। দূরত্ব যত কমছিল, তত বড় হচ্ছিল সেগুলো। আরও কাছে গিয়ে বোঝা গেল, সেতুর আলোকসজ্জা এগুলো। এর প্রতিবিম্ব নদীর হালকা স্রোতের তালে দোল খাচ্ছে।

এই দৃশ্য বরিশালের কুয়াকাটার লেবুখালীতে নির্মাণাধীন পায়রা সেতুর। নির্মাণ কাজ শেষ না হতেই প্রায় প্রতিদিন এখানে সেতু দেখতে আসছে দর্শনার্থীরা। বিশেষ করে সূর্য নামতে থাকলে ভিড় বাড়ে তাদের।

সেতুর সন্ধ্যার রূপ দেখতে বুধবার সেখানে যান নিউজবাংলার প্রতিবেদক।

সেখানে বন্ধুদের নিয়ে বেড়াতে গিয়েছিলেন বরিশাল নগরীর একটি স্কুলের শিক্ষক অনিক মজুমদার। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘রাতে দূর থেকে দেখলে মনে হয় কলকাতার বিদ্যাসাগর সেতু। এখনও চালু হয়নি, তবে সেতুতে ওঠার থেকে দূর থেকেই ভালো লাগছে।

‘বরিশাল থেকে কুয়াকাটা যেতে শেষ সেতু এটি। আসলে ফেরিও মিস করব আমরা। কত স্মৃতি এই ফেরিকে ঘিরে। তবে সাধারণ মানুষের জন্য এই সেতু আশীর্বাদ। দৃষ্টিনন্দন এই সেতু দেখে আমরা সত্যিই মুগ্ধ। কুয়াকাটা যাওয়ার পথে এমন দৃশ্য দেখে খুবই ভালো লেগেছে।’

লেবুখালী ফেরিঘাট এলাকায় সেতু দেখতে আসা জুবায়ের আহম্মেদ বলেন, ‘ফেসবুকে সেতুর ছবি দেখে এখানে এসেছি। আসলে কলকাতার একটি সেতুর সঙ্গে প্রায় মিলে যায় এই সেতু।

‘আমি আমার ছোট ছেলেকেও নিয়ে এসেছি। ভালোভাবে দেখার জন্য ফেরিতে উঠে আপ-ডাউনও করেছি। সেতু যেদিন চালু হবে সেদিন পরিবারের সবাইকে নিয়ে আবার পুরো সৌন্দর্য্য দেখতে আসার ইচ্ছা আছে।’

নগরীর বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মুশফিকুর রহমান পরিবারসহ বেড়াতে যাচ্ছিলেন কুয়াকাটায়। পথে সেতু দেখতে থেমেছেন।

তিনি বলেন, ‘লকডাউনের কারণে পরিবার নিয়ে কুয়াকাটা যেতে পারিনি। এখন যাচ্ছি। ফেরি পার হওয়ার সময় সেতুর আলোকসজ্জ্বা দেখে নেমেছি এখানে। আসলেই খুব ভালো লেগেছে। আশা করছি সামনের বার যখন কুয়াকাটা যাব, তখন এই সেতুতে করেই যাব।’

এই পায়রা সেতুর কাজ প্রায় ৯৯ ভাগ শেষ বলে জানিয়েছেন সেতুর প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী আবদুল হালিম।

তিনি জানান, সেতুটি দুইটি অ্যাবাটমেন্ট ও ৩১টি পিলারের উপর দাঁড়িয়ে। চলতি মাসেই এটি যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।

নিউজবাংলাকে হালিম আরও বলেন, ‘বরিশাল-পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের পায়রা নদীর উপর এই সেতু চালুর মধ্য দিয়ে উপকূলের ৫০ লাখ মানুষের স্বপ্নপূরণ হতে চলেছে। ৩১টি পিলারে সেতুটিতে সড়কবাতি স্থাপন হয়েছে। সম্পূর্ণ সেতুটি এখন দৃশ্যমান।

এই প্রকৌশলী জানান, সেতুটির সম্ভাব্য নির্মাণ খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ১৫০০ কোটি টাকা।

এ বিভাগের আরো খবর