সাবেক স্ত্রীর করা নির্যাতনের মামলায় বরখাস্ত পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) নাজমুস সাকিবের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে পুলিশ।
রমনা থানা সূত্রে জানা গেছে, গর্ভবতী স্ত্রীকে দফায় দফায় নির্যাতন ও ভ্রুণ হত্যার অভিযোগে মামলা হয়েছে বরখাস্ত হওয়া এএসপি নাজমুস সাকিবের বিরুদ্ধে। এজাহারে উল্লেখ করা অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।
মামলার আসামি সাকিবের বাবা সফিউল্লাহ তালুকদার ও মা খালেদা খাতুনের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাই এ দুজনকে মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন করেছে রমনা থানা পুলিশ।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৬ এর বিচারকের কাছে বৃহস্পতিবার পুলিশের এ প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়।
পুলিশ প্রতিবেদনে আসামি সাকিবের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এর ১১ (গ) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। যা সাধারণ জখমের ক্ষেত্রে আনা হয়ে থাকে। বাদীপক্ষ এ বিষয়ে নারাজি জানিয়েছে। একইসঙ্গে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব অন্য সংস্থাকে দেয়ার আবেদন করা হয়।
আদালত আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর নারাজি শুনানির দিন ধার্য করেছে।
বাদীপক্ষের আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, ‘পুলিশ তাদের তদন্ত প্রতিবেদনে সব প্রমাণের কথা বলেছে, কিন্তু ইচ্ছামতো ধারা বসিয়ে দিয়েছে। যা আইনবহির্ভূত। এজন্য আমরা নারাজি জানিয়েছি।’
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, এএসপি নাজমুস সাকিব তিন বছর আগে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে তিনি স্ত্রীকে শারীরিক নির্যাতন করতেন। যার ফলে তার স্ত্রীকে কয়েকবার হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়।
রমনা থানায় গত বছর ৪ মে সাকিবের বিরুদ্ধে জোর করে ভ্রুণ হত্যা ও নির্যাতনের অভিযোগে মামলা করেন তার স্ত্রী। তদন্তের এক পর্যায়ে ১৫ ডিসেম্বর বরখাস্ত করা হয় নাজমুস সাকিবকে। ১৬ মাস তদন্ত শেষে পুলিশ বৃহস্পতিবার আদালতে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।