বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গাড়ি তৈরিতে লোকসানে ভারত ছাড়ছে ফোর্ড

  •    
  • ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ২৩:০৭

ফোর্ড মোটর কোম্পানি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কারণ এটি চালিয়ে যাওয়া তাদের জন্য লাভজনক ছিল না। তবে বন্ধের প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হতে প্রায় এক বছর লেগে যাবে। কোম্পানির আর্থিক হিসাব অনুযায়ী ভারতে গত ১০ বছরে ২০৮ কোটি ডলার লোকসান হয়েছে।

জনপ্রিয় ফোর্ড মোটর কোম্পানি ভারতে গাড়ি বানানো বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাদের দুটি কারখানায় আর গাড়ি উৎপাদন হবে না। তবে বাজার ধরে রাখতে তারা কিছু গাড়ি আমদানি করবে।

আন্তর্জাতিক গাড়ি নির্মাতা সংস্থা জেনারেল মোটরসের পর ফোর্ড মোটর কোম্পানির প্রস্থান ভারতের অর্থনীতির জন্য বড় ধাক্কা। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ স্লোগান আর তেমন জোর পাবে না এ পরিস্থিতিতে।

কোম্পানি সূত্র জানিয়েছে, ফোর্ড এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কারণ এটি চালিয়ে যাওয়া তাদের জন্য লাভজনক ছিল না। তবে বন্ধের প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হতে প্রায় এক বছর লেগে যাবে। কোম্পানির আর্থিক হিসাব অনুযায়ী ভারতে গত ১০ বছরে ২০৮ কোটি ডলার লোকসান হয়েছে। ফোর্ড ভারতের চেন্নাই এবং গুজরাটের সানন্দে উৎপাদন কারখানায় ২০০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি বিনিয়োগ করেছে।

ফোর্ড কোম্পানি ২০২১ সালের চতুর্থ ত্রৈমাসিকের মধ্যে গুজরাটের সানন্দে রপ্তানির জন্য যানবাহন উৎপাদন বন্ধ করবে। আর ২০২২ সালের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে চেন্নাইতে যানবাহন ও ইঞ্জিন উৎপাদন বন্ধ করে দেবে।

চেন্নাইয়ের প্লান্টটি ৩৫০ একর জমিতে বিস্তৃত। সেখানে বছরে ২ লাখ ইউনিট গাড়ি এবং ৩ লাখ ৪০ হাজার ইঞ্জিন তৈরির ক্ষমতা রয়েছে।

গুজরাটের সানন্দ প্লান্ট ৪৬০ একর জুড়ে বিস্তৃত। সেখানে গাড়ি তৈরির ক্ষমতা ২ লাখ ৪০ হাজার ইউনিট। এ ছাড়া বছরে ২ লাখ ৭০ হাজার ইঞ্জিন তৈরির সক্ষমতা রয়েছে।

বাজার গুটিয়ে ফেলতে ফোর্ড মোটর কোম্পানি গত জুলাই মাসে ভারতে উৎপাদনক্ষমতার মাত্র ২০ শতাংশ কাজে লাগিয়েছে। তাদের কারখানা বন্ধের ফলে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ কর্মচ্যুত হবে।

মার্কিন গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থাটি আমদানির মাধ্যমে ভারতে তার কিছু গাড়ি বিক্রি অব্যাহত রাখবে। তারা গ্রাহকদের সেবা দিতে ডিলারদের সহায়তাও দেবে।

ফোর্ড ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান অনুরাগ মেহরোত্রা বলেছেন, ‘অনেক চেষ্টা সত্ত্বেও আমরা দীর্ঘমেয়াদি মুনাফা অর্জনের জন্য একটি টেকসই পথ খুঁজে বের করতে পারিনি। যার মধ্যে দেশীয় যানবাহন উৎপাদন অন্তর্ভুক্ত। বহু বছর ধরে সঞ্চিত লোকসান, শিল্পের ক্রমাগত ক্ষমতা হ্রাস এবং প্রত্যাশিত বৃদ্ধির অভাবের কারণে আমাদের কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর