বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কোটি কোটি টাকা ‘আত্মসাৎ’: এহ্‌সান গ্রুপের দুইজন গ্রেপ্তার

  •    
  • ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ২২:৪৩

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ জা মো. মাসুদুজ্জামান নিউজবাংলাকে জানান, আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে আবেদন করা হবে। কোম্পানির এমডি রাগীবকে ধরতে অভিযান চলছে।

পিরোজপুরে প্রতারণার মাধ্যমে গ্রাহকদের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে করা মামলায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সদর উপজেলার খলিশাখালী গ্রামের বাড়ি থেকে আবুল বাসার ও মাহমুদুল হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ বলছে, গ্রেপ্তার বাসার ও মাহমুদুল এহ্‌সান গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাওলানা রাগীব আহসানের ভাই।

পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ জা মো. মাসুদুজ্জামান নিউজবাংলাকে জানান, আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে আবেদন করা হবে। কোম্পানির এমডি রাগীবকে ধরতে অভিযান চলছে।

পিরোজপুর সদর উপজেলার খলিশাখালী এলাকায় ২০১০ সালে শুরু হয় এহ্‌সান রিয়েল এস্টেট নামের একটি প্রতিষ্ঠান। পরবর্তী সময়ে সে কোম্পানির নাম পরিবর্তন হয়।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১৩ থেকে ১৪ বছর আগে একটি মসজিদে নামমাত্র বেতনে ইমামতি করতেন মুফতি রাগীব আহসান। পরে ইমামতি ছেড়ে কাজ নেন একটি এমএলএম কোম্পানিতে। সেখানকার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে গড়ে তোলেন এহ্‌সান রিয়েল এস্টেট। এখন এর নাম এহ্‌সান গ্রুপ পিরোজপুর। এ গ্রুপের অধীনে রাগীব গড়ে তোলেন ১৪টি প্রতিষ্ঠান।

ইসলামি শরিয়াহ অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্মভীরু লোকজনের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ শুরু করে প্রতিষ্ঠানটির মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা।

গ্রাহকদের বলা হয়, এক লাখ টাকার বিপরীতে মাসে দুই হাজার টাকা মুনাফা দেয়া হবে।

এভাবে ১০ হাজার জনের কাছ থেকে প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা নেয়া হয় বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী দাবি করা গ্রাহকদের।

এহসান গ্রুপের জালিয়াতির বিষয়টি তদন্তে জেলা প্রশাসন একটি কমিটিও গঠন করে। সে তদন্তে জালিয়াতির প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানান কমিটির সদস্য পিরোজপুর প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি মুনিরুজ্জামান নাসিম আলী।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, সমবায় দপ্তর থেকে নেয়া লাইসেন্সের শর্ত ভেঙে সংগ্রহ করা আমানত গ্রাহকদের ফিরিয়ে দেয়ার চেষ্টা চলছে।

তিনি ওই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে লেনদেন থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।

এ বিভাগের আরো খবর