২৩ মাসের বেতন বন্ধ রয়েছে মেহেরপুরের গাংনীর বামন্দী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাত সদস্যের। এ ঘটনায় তারা চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম বিশ্বাসের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
ওই ইউনিয়নের তিন নারী সদস্যসহ সাত সদস্য ইউএনও কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে লিখিত অভিযোগ দেন।
নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বামন্দীর ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মিলন হোসেন।
অভিযোগে বলা হয়, ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ২৩ মাস ধরে তাদের পাওনা বেতন দিচ্ছেন না। আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার কথা। তাই বেতন না পাওয়ার শঙ্কায় বাধ্য হয়েই তারা এ অভিযোগ করেছেন।
ইউপি সদস্যদের লিখিত অভিযোগের কপি
মিলন জানান, বামন্দী ইউনিয়নে বড় একটি পশুরহাট, স্থানীয় কয়েকটি বাজার ও বেশ কয়েকটি কারখানা রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান থেকে এবং ট্রেড লাইসেন্স ও কর আদায়ের মাধ্যমে পর্যাপ্ত অর্থ ইউপি তহবিলে জমা হয়। ফলে সেখানে যথেষ্ট অর্থ মজুত রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘গাংনী উপজেলার মধ্যে বামন্দী ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আয় হয়। পরিষদের ফান্ডে টাকার অভাব নেই। অথচ আমাদের বেতন দিতে গেলেই শুধু ফান্ডে অর্থ থাকে না।’
এ বিষয়ে বামন্দী ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘ইউপি সদস্যদের বেতন বকেয়ার তথ্যটি সঠিক। তবে তারা কতদিন ধরে বেতন পান না, সেটি সঠিকভাবে বলতে পারছি না। আনুমানিক ২৩-২৪ মাসের বেতন বকেয়া থাকতে পারে।’
ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘করোনার সময়ে ট্যাক্স-ভ্যাট না ওঠায় ইউনিয়নের ফান্ডে অর্থ নেই। এ কারণে ইউপি সদস্যদের বেতন দেয়া সম্ভব হয়নি। তারপরও গত ঈদুল আজহার সময়ে কয়েকজন সদস্য বেতন উঠিয়েছেন।’
ইউএনও মৌসুমী খানম বলেন, ‘দুপুরে চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে ইউপি সসদ্যরা তাদের বেতন না পাওয়ার বিষয়টি জানান। আমি তাদের লিখিত অভিযোগ দেয়ার পরামর্শ দেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করব।’
ইউপি সদস্য মিলন বলেন, ‘সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস হওয়ায় লিখিত অভিযোগটি ইউএনওর অফিসে জমা দেয়া হয়েছে। আশা করছি রোববার তিনি অভিযোগের কপি পাবেন।’