জরুরি প্রয়োজনে ফোনে স্বামীকে ডাকেন স্ত্রী। কিন্তু এতে সাড়া পাননি। অভিমান করে প্রথমে সন্তানকে এবং পরে নিজে ‘কীটনাশক’ পান করেন।
গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে তাদের হাসপাতালে নেয়া হয়। কিন্তু কাউকেই আর বাঁচানো যায়নি।
এ ঘটনা ঘটেছে নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার হাসপাতাল মোড় এলাকার একটি বাড়িতে।
মহাদেবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিসৎক মাহবুব হাসান নিউজবাংলাকে জানান, কীটনাশক জাতীয় কিছু খাওয়ার কারণেই তাদের মৃত্যু হয়েছে।
মৃতরা হলেন, স্থানীয় ধান-চাল ব্যবসায়ী বীরেন কুমার মন্ডলের স্ত্রী ৪৮ বছরের শেফালী রাণী মন্ডল ও তার ২৭ বছরের ছেলে সুজন কুমার মন্ডল।
স্থানীয়রা জানায়, বীরেন বিয়েবর্হিভূত সম্পর্কে জড়িত বলে সন্দেহ করত মা-ছেলে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কলহ লেগেই থাকতো।
বীরেন জানান, দুপুর আড়াইটার দিকে তার স্ত্রী ফোন করে তাড়াতাড়ি বাসায় আসতে বলেন। তা না হলে তিনি বিষপান করবেন বলে হুমকি দেন।
‘সে সময় ব্যক্তিগত কাজে মহাদেবপুরের বাইরে ছিলাম। বিকেলে বাসায় ফিরে দেখি দরজা-জানালা বন্ধ। পরে জানালা ভেঙে ঘরে ঢুকে দেখি স্ত্রী ও ছেলে অসুস্থ অবস্থায় বিছানায় পড়ে আছে। প্রতিবেশীদের সহায়তায় তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই।
‘সেখানে জানতে পারি তারা কীটনাশক পান করেছে। অবস্থার অবনতি হলে তাদের নওগাঁ সদর হাসপাতালে নেয়ার চেষ্টা করি। পথে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ছেলে সুজন মারা যায়। স্ত্রীকে সদর হাসপাতালে নেয়ার পর বিকেল ৫টার দিকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মহাদেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজম উদ্দিন মাহমুদ জানান, মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালে রাখা আছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
‘পারিবারিক কলহের জেরে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটতে পারে। এ বিষয়ে থানায় অপমৃত্যুর মামলা হবে।’