বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কাপ্তাই হ্রদের কচুরিপানা নিয়ে অসহায় ডিসি

  •    
  • ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ২২:০৪

রাঙামাটির ডিসি বলেন, ‘কাপ্তাই হ্রদের কচুরিপানা সরানোর স্থায়ী উপায় এখনও আমাদের অজানা। কচুরিপানা নিমূর্লের যন্ত্র রাঙামাটিতে নেই। ইউনিয়ন পরিষদকে এ বিষয়ে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। কচুরিপানা সরাতে শ্রমিক দিলেও সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে ইউনিয়ন পরিষদ।’

কাপ্তাই হ্রদে কচুরিপানা বেড়ে যাওয়ায় নৌ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। ইঞ্জিনচালিত নৌকা হ্রদের মাঝখানে আটকে যাচ্ছে। এতে দুর্ভোগে পড়ছে পণ্যবাহী নৌকা, লঞ্চ ও স্পিডবোটের পর্যটক ও স্থানীয় যাত্রীরা। প্রতি বর্ষায় হ্রদের একই হাল হয়।

হ্রদের কচুরিপানা অপসারণে অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছেন রাঙামাটি জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, ‘কচুরিপানা সমস্যার স্থায়ী সমাধান কিভাবে হবে এখনও আমাদের অজানা।’

সরেজমিনে দেখা যায়, রাঙামাটি সদরে কাপ্তাই হ্রদের আজারাবাকমুখ, চাং ফাং রেস্টুরেন্ট, পেডা টিংটিং এলাকায় জট বেঁধে আছে কচুরিপানা। ছোট ছোট ইঞ্জিনচালিত নৌকা আটকে আছে কচুরিপানার মাঝে। নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে পৌঁছতে পারছে না মালবাহী নৌকা, লঞ্চ ও স্পিডবোটের যাত্রীরা। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে চার উপজেলার মানুষ।

বরকলের ধামাইছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অমল চাকমা বলেন, ‘সরকারি নির্দেশে ১২ সেপ্টেম্বর থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলছে। এখন প্রতিদিন স্কুলে যেতে হচ্ছে। কাপ্তাই হ্রদে ঠাসা কচুরিপানার কারণে দুর্ভোগে পড়েছি। শিগগিরই কচুরিপানা সরানোর পদক্ষেপ না নিলে ভোগান্তি বাড়বে।’

কাপ্তাই হ্রদে কচুরিপানা বেড়ে যাওয়ায় নৌ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। ছবি: নিউজবাংলা

স্থানীয় লক্ষীমন চাকমা বলেন, ‘বরকল থেকে নৌকায় রাঙামাটি শহরে যাতায়াতে কচুরিপানায় আটকা পড়তে হয়। এতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় নষ্ট হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রতি বর্ষা মৌসুমে রাঙামাটির বিভিন্ন উপজেলা থেকে কাপ্তাই হ্রদে কচুরিপানা চলে আসে। দিনে দিনে তা বাড়তে থাকে। এক পর্যায় হ্রদ ভরে যায় কচুরিপানায়।’

রাঙামাটি লঞ্চ মালিক সমিতির সভাপতি মঈন উদ্দিন সেলিম জানান, কচুরিপানার কারণে কাপ্তাই হ্রদের মাঝখানে নৌযান আটকে গেলে কমপক্ষে সাত-আট ঘন্টা সময় নষ্ট হয়। অনেক সময় ইঞ্জিনও নষ্ট হয়ে যায়। কচুরিপানা সরানো না হলে আরও দুর্ভোগ পোহাতে হবে।

কাপ্তাই হ্রদে কচুরিপানা বেড়ে যাওয়ায় নৌ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। ছবি: নিউজবাংলা

তিনি আরও বলেন, জেলা প্রশাসন,পানি উন্নয়ন বোর্ড, বিএফডিসি ও জেলা পরিষদ সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসতে পারে।

কাপ্তাই কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এতিএম আব্দুজ্জাহের জানান, কচুরিপানা সরানোর স্থায়ী সমাধান কখনও সম্ভব নয়। ২০১২ সালে কচুরিপানা সরানোর চেষ্টা হয়েছিল। সম্ভব হয়নি। জেলেরা মাছ ধরার জন্য কচুরিপানা দিয়ে জাক দিয়ে থাকেন। পানি বাড়ার সঙ্গে জাক ছেড়ে দিলে বিভিন্ন জায়গা থেকে কাপ্তাই হ্রদে কচুরিপানা চলে যায়। এর পর শুরু হয় দুর্ভোগ।

এ বিষয়ে রাঙামাটির ডিসি বলেন, ‘হ্রদের কচুরিপানা সরানোর স্থায়ী উপায় এখনও আমাদের অজানা। কচুরিপানা নিমূর্লের যন্ত্র রাঙামাটিতে নেই। ইউনিয়ন পরিষদকে এ বিষয়ে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। কচুরিপানা সরাতে শ্রমিক দিলেও সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে ইউনিয়ন পরিষদ।’

এ বিভাগের আরো খবর