সংসদকে গণতান্ত্রিক চর্চার কেন্দ্র হিসেবে অভিহিত করে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, ‘বাংলাদেশ-ভারতের সংসদীয় কার্যক্রম সম্পর্কে পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময়ের সুযোগ তৈরি হলে দক্ষতা বাড়বে।’
ভারতের লোকসভার স্পিকার ওম বিরলার সঙ্গে সাক্ষাতে এ কথা বলেন শিরীন শারমিন চৌধুরী। বৃহস্পতিবার অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় তাদের সাক্ষাৎ হয়।
এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন বলেন, ‘গণতন্ত্র চর্চার কেন্দ্র হিসেবে দুই দেশের সংসদীয় কার্যক্রম সম্পর্কে পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধি পায়। সংসদ টেলিভিশন এবং লোকসভা টেলিভিশন পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে নিজেদের আরও সমৃদ্ধ করতে পারে।’
ব্যবসা, বাণিজ্য, যোগাযোগ ও সংস্কৃতি-প্রতি ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ-ভারত একে অপরের পরিপূরক জানিয়ে স্পিকার বলেন, ‘বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের কর্মকর্তারা ভারতের লোকসভায় প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে থাকেন, কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে যা ব্যাহত হয়েছে।’
সাক্ষাতে তারা দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়সহ আন্তঃদেশীয় সম্পর্ক উন্নয়ন, দুই দেশের সংসদীয় কূটনীতি, করোনা পরিস্থিতি, ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার, লোকসভা টিভি ও সংসদ টিভির সহযোগিতা সম্প্রসারণ নিয়ে আলোচনা করেন।
লোকসভার স্পিকার ওম বিরলা এ সময় বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। নারীর ক্ষমতায়নসহ বাংলাদেশে নারীর অর্থনৈতিক সক্ষমতা বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।’
ভবিষ্যতে যে কোনো বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করার অভিপ্রায়ও জানান লোকসভার স্পিকার। এ ছাড়া ভারতের সরকারি হিসাব কমিটির শততম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীকে ভারত সফরে আমন্ত্রণ জানান ওম বিরলা।
উত্তরে ধন্যবাদ জানিয়ে স্পিকার বলেন, ‘একই দিনে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক পিস কনফারেন্স থাকায় অংশগ্রহণ করা সম্ভব না হলেও ভবিষ্যতে সুবিধাজনক সময়ে ভারত সফর করবেন।’
এ সময় দুদেশের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।