বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এক স্কুলের ৫০ ছাত্রীর বিয়ে: তদন্ত প্রতিবেদন শুক্রবার

  •    
  • ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ২০:৪৫

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাতেমা-তুজ-জোহরা জানান, একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যদি এমন অবস্থা হয়, তবে জেলাব্যাপী কী অবস্থা, সেটা কল্পনা করা যায় না। করোনার মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অনেক শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে।

সাতক্ষীরা সদরের আলীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৫০ যাত্রীর আট মাসে বাল্যবিবাহের ঘটনা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে কমিটি।

তিন সদস্যের এই কমিটির শুক্রবার প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা রয়েছে। এর আগে বুধবার বাল্যবিবাহের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও করণীয় নির্ধারণে সদর মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জায়েদুর রহমানকে প্রধান করে এই কমিটি গঠন করা হয়।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাতেমা-তুজ-জোহরা জানান, একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যদি এমন অবস্থা হয়, তবে জেলাব্যাপী কী অবস্থা, সেটা কল্পনা করা যায় না। করোনার মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অনেক শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে।

আগামীতে এমন ঘটনা যেন না ঘটে, সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান ইউএনও।

আলীপুর আদর্শ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত ওই বিদ্যালয়ের ৫০ ছাত্রীর বাল্যবিবাহ হয়েছে। তাদের মধ্যে দশম শ্রেণির ১৪ জন, নবম শ্রেণির ৭ জন ও অষ্টম শ্রেণির ১১ জন রয়েছে। এ ছাড়া ১৮ জন এসএসসি পরীক্ষার্থীও রয়েছে। তারা সবাই ১৪ থেকে ১৭ বছর বয়সী।

প্রধান শিক্ষক আব্দুল লতিফ জানান, ২০২০ সালে স্কুলের ৩২ ছাত্রীর বিয়ে হয়। ৬৮ জন এসএসসি পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২১ জন ফরম পূরণ করেনি। এ বিষয়ে খোঁজখবর নিতে গিয়ে বাল্যবিবাহের এমন ভয়াবহ তথ্য বেরিয়ে আসে।

তিনি আরও জানান, দুই মাস আগে তিনি জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে ৪৭ ছাত্রীর বিয়ে হওয়ার তালিকা পাঠিয়েছেন। করোনাকালে এই স্কুলের ৬৬ ছাত্রীর বিয়ে হয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, বিয়ের বয়স না হলেও জন্মনিববন্ধনে কৌশলে এসব মেয়ের বয়স বাড়িয়ে নেয়া হয়।এ বিষয়ে আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব কাঞ্চন কুমার দে বলেন, ‘এক স্কুলের এতগুলো ছাত্রীর বিয়ে কীভাবে হয়েছে, তা জানা নেই। এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের কাছে কোনও তথ্য নেই। গত এক বছরে যাদের বিয়ে হয়েছে সবার বয়স ১৮ বছরের ওপরে। তবে গোপনে বাল্যবিবাহ হয়ে থাকলে সেই তথ্য ইউনিয়ন পরিষদে জানায় না।’জেলার পেশাজীবীদের নিয়ে গঠিত বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ কমিটির প্রশাসনিক প্রধান সাকিবুর রহমান বাবলা বলেন, ‘করোনাকালে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় তেমন গুরুত্ব ছিল না। অলস সময়ে তারা ছেলেদের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ায়। একপর্যায়ে মা-বাবা উদ্বিগ্ন হয়ে তাদের বিয়ের ব্যবস্থা করতে বাধ্য হন।’

তিনি আরও জানান, ৫০ জনের তথ্য যাচাই করে দেখা গেছে, দুজনকে তাদের পছন্দের ছেলের সঙ্গে বিয়ে দেয়া হয়েছে। আর সম্পর্কে জড়ানোর জন্য কমপক্ষে ১০ জনকে অন্যত্র বিয়ে দেয়া হয়।

বাল্যবিবাহের বিষয়ে জানতে চাইলে সাতক্ষীরা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এস এম আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ২৫টি বাল্যবিবাহের বিষয়ে তিনি নিশ্চিত হয়েছেন।

এ বিভাগের আরো খবর