বরিশাল সদরে কীর্তনখোলা নদী তীরে ৪ হাজার ৪২৩টি পয়েন্টে স্থাপনা নির্মাণসহ নানাভাবে দখল করা হয়েছে। সবচেয়ে বেশি দখল হয়েছে সিটি করপোরেশনের নদী তীরের এলাকা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বরিশাল সার্কিট হাউজে নদী সংরক্ষণে সচেতনতা বিষয়ে কর্মশালায় কীর্তনখোলার পাড় দখলের এ চিত্র তুলে ধরা হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের ৪৮ নদী সমীক্ষা প্রকল্পের পরিচালক ও যুগ্ম সচিব ইকরামুল হক।
তিনি বলেন, ‘নদীকে কেন্দ্র করে সভ্যতা গড়ে ওঠে। আমাদের বাঁচতে হলে নদীগুলোকে সচল রাখতে হবে। প্রকৃতির ওপর আমরা যে অত্যাচার করি, তা আমাদেরই ফেরত নিতে হবে। নদী রক্ষায় সরকারের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে ভূমিকা রাখতে হবে।’
বরিশাল সার্কিট হাউজে নদী সংরক্ষণে সচেতনতা বিষয়ে কর্মশালার আয়োজন করা হয়
তিনি আরও বলেন, ‘নদী রক্ষায় অবৈধ দখল উচ্ছেদ করে সীমানা নির্ধারণ নিশ্চিত করতে হবে। বন্ধ করতে হবে নদী দূষণ।’
সরকার নদী রক্ষায় বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানান তিনি।
নদী দূষণ, অবৈধ দখল থেকে নদী রক্ষা ও নদীর তথ্য ভান্ডার তৈরি ও সমীক্ষা প্রকল্পের (১ম পর্ব) আওতায় এ কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনিবুর রহমান।
বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক প্রশান্ত কুমার দাস ও সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাহাবুবুর রহমান মধু।