ভোলায় এক দিনে পানিতে ডুবে চার শিশুর মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছে দুই শিশু।
জেলা সদর, লালমোহন ও চরফ্যাশন উপজেলায় বৃহস্পতিবার এ ঘটনাগুলো ঘটে।
লালমোহন উপজেলার সদর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের চাটিকা দুলাবাড়িতে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে খেলতে গিয়ে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
তারা হলো পাঁচ বছর বয়সী মো. সাইদ ও চার বছর বয়সী মীম। সাইদের বাড়ি চাটিকা দুলাবাড়ি এলাকায় আর মীমের বাড়ি পাশের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে। সে নানাবাড়িতে বেড়াতে এসেছিল।
সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শাহজান মিয়া নিউজবাংলাকে জানান, সাইদ ও মীম খেলতে গিয়ে পুকুরে পড়ে যায়। অনেকক্ষণ তাদের না পেয়ে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি করে পুকুরে মরদেহ ভাসতে দেখেন।
ইউপি চেয়ারম্যান জানান, মরদেহগুলো পারিবারিকভাবে দাফন করা হয়েছে।
মনপুরা উপজেলার হাজীরহাট ইউনিয়নের চরফৈজুদ্দিন গ্রামের হাজীরচর খাল থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস।
মৃত ১১ বছর বয়সী মো. জিহাদের বাড়ি মনপুরার উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডে।
মনপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদ আহমেদ নিউজবাংলাকে জানান, বুধবার বিকেলে জিহাদ খালের পানিতে পড়ে নিখোঁজ হয়। বৃহস্পতিবার সকালে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তার মরদেহ উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছেন। এ ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
ওসি আরও জানান, মনপুরা ইউনিয়নের বেতুয়া স্লুইসগেট এলাকায় খালে পড়ে দুই শিশু নিখোঁজ হয়েছে। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধারে চেষ্টা চালাচ্ছেন।
নিখোঁজ শিশুরা হলো মনপুরা ইউনিয়নের চার বছর বয়সী চাঁদনী ও ওই ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের পাঁচ বছর বয়সী মো. সোহাগ। তারা মামাতো-ফুফাতো ভাইবোন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীম মিঞা জানান, ওই দুই শিশুকে উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের সহায়তা চাওয়া হয়েছে। মৃত ও নিখোঁজ তিন শিশুর পরিবারকেই উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে।
চরফ্যাশন উপজেলার চরমানিকা ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামে পুকুর থেকে পানি আনতে গিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে এক শিশুর ডুবে মৃত্যু হয়েছে।
পাঁচ বছর বয়সী মৃত মো. ফুহাদের বাড়ি চরমানিকা গ্রামে।
চরমানিকা ইউপির চেয়ারম্যান শফিউল্লাহ হাওলাদার জানান, ফুহাদ বাড়ির পাশের পুকুরপাড়ে স্থানীয় ছেলেদের সঙ্গে খেলছিল। একসময় সে বোতলে পানি নিতে গিয়ে পুকুরে পড়ে যায়।
অন্য শিশুদের চিৎকারে পরিবারের সদস্যরা এসে তাকে উদ্ধার করে চরকচ্ছপিয়া গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রে নেন। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পারিবারিকভাবে তাকে দাফন করা হয়েছে।