বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নলকূপ থেকে বের হচ্ছে গরম পানি

  •    
  • ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৮:২৮

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তারা প্রাথমিকভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এ পানি নিরাপদ বলে ঘোষণা দিয়েছেন। তবে গরম পানি বের হওয়ার কারণ জানাতে পারেনি। এ জন্য আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন বলে জানান তারা।

রংপুর সদরের চন্দনপাট ইউনিয়নের মন্ডলপাড়া গ্রাম। এই গ্রামের শফিউল আলম বাবুর বাড়িতে গত বছর ডিসেম্বরে বসানো হয় একটি গভীর নলকূপ।

৫৪৫ ফুট গভীরে সাব-মার্সিবল পানির লাইন বসান সদর উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল কার্যালয়ের কর্মীরা। শুরুতে নলকূপ দিয়ে ঠান্ডা পানি উঠলেও কিছু দিন পরই গরম পানি বের হতে শুরু করে।শুধু শফিউল আলমের বাড়িতে নয় এই গ্রামের অনেকের নলকূপ দিয়েই গরম পানি বের হচ্ছে। সরেজমিনে বৃহস্পতিবার ওই গ্রামে এ চিত্র দেখা যায়।

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তারা প্রাথমিকভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষার করে এ পানি নিরাপদ বলে ঘোষণা দিয়েছেন। তবে গরম পানি বের হওয়ার কারণ জানাতে পারেনি। এ জন্য আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন বলে জানান তারা।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গ্রামের অন্তত ১৫টি বাড়ির নলকূপ দিয়ে গরম পানি বের হচ্ছে। এই পানির উষ্ণতা ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিক পানির তুলনায় প্রায় ১০ ডিগ্রি বেশি।

শফিউল আলম বাবু নিউজবাংলাকে জানান, ফেব্রুয়ারি মাসে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিস থেকে নিরাপদ ও সুপেয় পানির জন্য ৫৪৫ ফুট গভীর একটি সাব মার্সিবল নলকূপ বসানো হয় তার বাড়িতে।

কয়েকদিন ঠান্ডা পানি ওঠার পর টিউবওয়েল থেকে গরম পানি বের হওয়া শুরু হয়। সে পানি খাওয়ার উপযোগী ছিল না। পরে আরও একটি টিউবওয়েল বসানো হয়। এতেও কোনো পরিবর্তন হয়নি।তার প্রতিবেশী মুকুল মিয়া বলেন, ‘বাবু ভাইয়ের এ গভীর টিউবওয়েল চেপে প্রথম এক মিনিটের মতো পানি ধরা যায়। এরপর এত গরম বের হয় যে হাতে ফোসকা পড়ার মত অবস্থা হয়।’স্থানীয় জয়নাল আবেদীন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এ পানির কোনো স্বাদ নেই। পানিগুলো সাবানের পানির মত পিচ্ছিল মনে হয়। কেমন একটা গন্ধও আছে পানিতে।’চন্দনপাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম জানান, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। পরীক্ষা করে পানি গরম হওয়ার কারণ জানা যাবে বলে তারা জানান। বিষয়টি নিয়ে চিন্তামুক্ত থাকতে বলেছেন।রংপুর সদর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিসের কর্মকর্তা সরকার সাব্বির আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সিনিয়রদের নিয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছি। প্রাথমিক পরীক্ষায় পানিতে কোনো সমস্যা নেই বলে মনে হয়েছে।’রংপুর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী পঙ্কজ কুমার সাহা বলেন, ‘বিভিন্ন লেয়ারে গরম পানি বের হচ্ছে। পরীক্ষায় পানি ঝুঁকিপূর্ণ মনে হয়নি।তিনি আরও বলেন, ‘পানি ঢাকায় ল্যাবরেটরি পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে ঢাকা অফিসকে লিখিতভাবে জানানো হবে। এরপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর