করোনা মহামারিতে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় আংশিক খুলেছে। শুধু পরীক্ষায় অংশ নিতে শিক্ষার্থীদের আগমনে উৎসবমুখর হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাস।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন বিভাগের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর চূড়ান্ত পরীক্ষা শুরু হয়েছে।
সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা এবং বেলা দেড়টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত পরীক্ষা চলে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কার্যালয় সূত্র জানায়, সকাল থেকে সাত বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের ১১টি চূড়ান্ত পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে সকালের শিফটে পাঁচটি এবং বিকেলের শিফটে ছয়টি পরীক্ষা হয়।
দীর্ঘদিন পর পরীক্ষা দিতে এসে আনন্দিত শিক্ষার্থীরা। রসায়ন বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী সাইফুর রহমান বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা দিচ্ছি। খুবই ভালো লাগছে।’
লোকপ্রশাসন বিভাগের স্নাতকের শিক্ষার্থী আনিকা তাসনিম সুপ্তি বলেন, ‘আবারও চূড়ান্ত পরীক্ষা শুরু হয়েছে। সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে আমরা সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা শেষ করতে পারব।’
রসায়ন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মাদ সৈয়দুর রহমান বলেন, ‘সেশনজট থেকে শিক্ষার্থীদের মুক্ত করতে পরীক্ষার বিকল্প ছিল না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সে অনুযায়ী আমরা পরীক্ষা শুরু করেছি। নিজেরা নিজেদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করছি।’
বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় পরীক্ষা কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আমিনুল ইসলাম আকন্দ বলেন, 'স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা শুরু হয়েছে। স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতে অনুষদে ঢুকতে তাপমাত্রা মাপা হচ্ছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের। এ ছাড়া মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করে হলরুমে প্রবেশ করেছে সবাই। রেজিস্ট্রার অফিস, প্রক্টর অফিস স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে দায়িত্ব পালন করছে।’
২৯ আগস্ট অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শুধু স্নাতকোত্তরের পরীক্ষা নেয়ার ঘোষণা দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরে শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে ৩১ আগস্ট স্নাতকোত্তরের পাশাপাশি স্নাতক চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।