ভোক্তা পর্যায়ে চিনির দাম পুনর্নির্ধারণ করল সরকার। এতে বর্তমান বাজারদর থেকে সব ধরনের চিনিতে কেজিপ্রতি দাম কমানো হলো ৫ টাকা।
বর্তমানে বাজারে খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি চিনি ৭৮ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এখন দর পুনর্নির্ধারণ হওয়ায় বাজারে প্রতি কেজি খোলা চিনির সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৭৪ টাকা। অন্যদিকে প্যাকেটজাত চিনির কেজিপ্রতি মূল্য ৭৫ টাকা।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আমদানি অনুবিভাগ) এএইচএম সফিকুজ্জামান জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার থেকেই নতুন দাম কার্যকর হবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার চিনি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সমন্বয়ে গঠিত জাতীয় মূল্য নির্ধারণ কমিটি চিনির দাম নির্ধারণ করে।
জাতীয় মূল্য নির্ধারণ কমিটির বৈঠক শেষে নিজ দপ্তরে ব্রিফিং করেন এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।
ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। গত ৮ থেকে ১০ বছর দেশে চিনির বাজার ৬০ টাকার আশপাশে ছিল। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় চিনির রপ্তানিকারক দেশগুলোতে দাম বেড়ে গেছে। একটা সময় প্রতি টন অপরিশোধিত চিনির দাম আন্তর্জাতিক বাজারে ৫০০ ডলার ছাড়িয়ে যায়। এখন পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় চিনির আমদানি মূল্য কমে এসেছে।
সচিব জানান, ট্যারিফ কমিশনের পর্যালোচনা অনুযায়ী, পরিশোধিত চিনির গড় আমদানি মূল্য ৪১৬ ডলারে নেমে আসে। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমার প্রভাব দেশের বাজারে নিশ্চিত করতে মূল্য নির্ধারণসংক্রান্ত জাতীয় কমিটি চিনির দাম নির্ধারণ করেছে। এতে ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি কেজি প্যাকেটজাত চিনির দাম ৮০ টাকা থেকে কমিয়ে ৭৫ টাকা নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একইভাবে খুচরা পর্যায়ে খোলা চিনির সর্বোচ্চ বাজারদর কেজিতে ৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, দাম কমার প্রভাব বাজারে নিশ্চিত করতে শুক্রবার থেকে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর অভিযান চালাবে। এই অভিযানের মধ্য দিয়ে জাতীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাজার পর্যায়ে চিনির নির্ধারিত মূল্য নিশ্চিত করবে সরকার।