তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনে করা মামলায় খালাস পেয়েছেন সাংবাদিক প্রবীর সিকদার।
ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন বৃহস্পতিবার দুপুরে রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার পর প্রবীর সিকদার আদালত থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি ন্যায়বিচার পেয়েছি। আমি একা হলেও ন্যায়ের জন্য লড়াই করব।’
তিনি বলেন, ‘দেশে লুটপাটের দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে যাব। আমাকে কাজ দেয়া হয়নি, আমি নিজে পত্রিকা বের করেও বিজ্ঞাপন পাইনি। তাই আজ যে ন্যায়বিচার পেলাম তার মর্যাদা রক্ষার জন্য আমার লড়াই অব্যাহত থাকবে।’
প্রবীর সিকদারের আইনজীবী আমিনুল গনি টিটো রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, প্রবীর সিকদার সাহসিকতার সঙ্গে লড়াই করে এ ন্যায়বিচার পেয়েছেন।
গত ২২ মার্চ যুক্তিতর্ক শেষে আদালত রায়ের তারিখ ১ এপ্রিল নির্ধারণ করে। তবে রায় প্রস্তুত না হওয়ায় তারিখ পিছিয়ে ১১ এপ্রিল করা হয়। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় মামলার রায় এতদিন স্থগিত ছিল।
বর্তমানে তিনি দৈনিক বাংলা ৭১, অনলাইন পত্রিকা উত্তরাধিকার-৭১ নিউজ ও ত্রৈমাসিক পত্রিকা উত্তরাধিকারের সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বে আছেন।
এই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ১৬ আগস্ট ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় আইসিটি আইনে মামলা করেন জেলা পূজা উদযাপন কমিটির উপদেষ্টা স্বপন পাল। ওই রাতেই গ্রেপ্তার হন প্রবীর সিকদার। পরে তাকে তিন দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। একই বছর ১৯ আগস্ট তিনি জামিনে মুক্ত হন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, প্রবীর সিকদার ২০১৫ সালের ১০ আগস্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তৎকালীন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দেন। ওই স্ট্যাটাসে মন্ত্রীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মনির হোসেন পরের বছর ১৬ মার্চ অভিযোগপত্র জমা দেন। ওই বছরের ৪ আগস্ট প্রবীর সিকদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে ট্রাইব্যুনাল।