বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আসামি শনাক্তে কারাগারে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালুর নির্দেশ

  •    
  • ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১২:৩৫

আদালতের নির্দেশগুলো হলো বিদ্যমান ব্যবস্থার সঙ্গে সব থানায় আসামির হাতের আঙুল ও তালুর ছাপ, চোখের মণি সংরক্ষণের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক পদ্ধতির প্রচলন করা, গ্রেপ্তারের পর আসামির সম্পূর্ণ মুখের ছবি ধারণ ও কেন্দ্রীয় তথ্যভাণ্ডারে সংরক্ষণ করা এবং দেশের সব কারাগারে আঙুল ও হাতের তালুর ছাপ, চোখের মণি সংরক্ষণের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক তথ্য সংরক্ষণ সিস্টেম চালু করা।

বদলি সাজা খাটা রোধ এবং প্রকৃত আসামি শনাক্তে দেশের কারাগারগুলোতে পর্যায়ক্রমে বায়োমেট্রিক পদ্ধতির প্রচলন করতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও কারা কর্তৃপক্ষকে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেয়।

নির্দেশে নাশকতার মামলায় ভুল আসামি জহির উদ্দিনের বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানাকে অবৈধ ঘোষণা করেছে হাইকোর্ট।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।

আইনজীবী শিশির মনির বলেন, ‘আদালত পর্যবেক্ষণসহ রুলটি যথাযথ ঘোষণা করেছেন। আবেদনকারী জহির উদ্দীনের বিরুদ্ধে জারিকৃত পরোয়ানা অবৈধ এবং আইন বহির্ভূত হিসেবে ঘোষণা করেছেন। এ ছাড়া আদালত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলেছেন।’

নির্দেশগুলো হলো বিদ্যমান ব্যবস্থার সঙ্গে সব থানায় আসামির হাতের আঙুল ও তালুর ছাপ, চোখের মণি সংরক্ষণের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক পদ্ধতির প্রচলন করা, গ্রেপ্তারের পর আসামির সম্পূর্ণ মুখের ছবি ধারণ ও কেন্দ্রীয় তথ্যভাণ্ডারে সংরক্ষণ করা এবং দেশের সব কারাগারে আঙুল ও হাতের তালুর ছাপ, চোখের মণি সংরক্ষণের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক তথ্য সংরক্ষণ সিস্টেম চালু করা।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালের ৯ এপ্রিল রাজধানীর খিলগাঁও থানায় হওয়া মামলায় পুলিশ নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের শাহজাদপুর গ্রামের আহসান উল্লাহর ছেলে মোদাচ্ছের আনছারীকে গ্রেপ্তার করে।

পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর মোদাচ্ছের তার নাম-ঠিকানা গোপন করে নিজেকে নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার আজগর আলী মোল্লা বাড়ির মোহাম্মদ আব্দুল কাদেরের ছেলে মোহাম্মদ জহির উদ্দিন নামে পরিচয় দেন। এরপর ওই বছরের ৩১ অক্টোবর মোদাচ্ছের জামিন পেয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে পালিয়ে যান। তিনি জহির উদ্দিন নামেই আদালতে জামিনের আবেদন করেছিলেন।

এদিকে পুলিশ তদন্ত শেষে জহির উদ্দিনসহ অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ৮ এপ্রিল অভিযোগপত্র দেয়। এরপর ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালত ২০১৭ সালের ১১ অক্টোবর জহিরের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এ অবস্থায় জহির উদ্দিন তার বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করেন।

ওই রিটের শুনানি নিয়ে গত বছরের ১০ মার্চ জহির উদ্দিনের বিরুদ্ধে ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানার কার্যকারিতা স্থগিত করে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে রুল জারি করে উচ্চ আদালত।

পাশাপাশি নোয়াখালীর জহির উদ্দিন ওই মামলার প্রকৃত আসামি কি না, তা তদন্ত করতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দেয় আদালত।

ওই নির্দেশে গত সপ্তাহে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

পিবিআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, মামলার প্রকৃত আসামি নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের আহসান উল্লাহর ছেলে মোদাচ্ছের আনছারী ওরফে মোহাদ্দেস।

পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সারোয়ার আলমের জমা দেয়া প্রতিবেদনে বলা হয়, জহির উদ্দিনকে খিলগাঁও থানার মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আসামি হিসেবে চিহ্নিত করার মতো পর্যাপ্ত সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়নি। জহির উদ্দিন প্রকৃতপক্ষে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাধারী ব্যক্তি নয়। প্রকৃত আসামি মোদাচ্ছের আনছারী ওরফে মোহাদ্দেস।

সব শুনে আদালত বৃহস্পতিবার আদেশ দেয়।

এ বিভাগের আরো খবর