গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে ম্যানেজিং কমিটির দুই সদস্যের বিরুদ্ধে স্কুলের লোহার গেট বিক্রি করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এলাকায় বইছে সমালোচনার ঝড়।
উপজেলার কৃষ্ণাদিয়া ৬ নম্বর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য কাজী মনির ও সহসভাপতি আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ ওঠে।
এর বিচার চেয়ে ৭ সেপ্টেম্বর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেছেন ওই কমিটির অভিভাবক সদস্য মো. হুমায়ুন মৃধা।
অভিযোগে বলা হয়, ৩ সেপ্টেম্বর দুপুরে পুরাতন লোহার গেটটি যথাস্থানে দেখতে না পেয়ে স্কুল চত্বরে খোঁজাখুঁজি করা হয়। কোথাও না পেয়ে প্রাথমিকভাবে গেটটি চুরি হয়েছে বলে ধারণা করেন কমিটির সদস্যরা।
পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির ওই দুই সদস্য কাউকে কিছু না জানিয়ে কৃষ্ণাদিয়া বাজারের এক ওয়ার্কশপ ব্যবসায়ীর কাছে লোহার গেটটি বিক্রি করে দিয়েছেন।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, গেটটি চুরি হওয়ার খবর শুনে স্থানীয় লিটন শেখ নামের এক ব্যক্তি জানান, কৃষ্ণাদিয়া বাজারের ওয়ার্কশপ ব্যবসায়ী মো. ইছানূরের গ্রামের বাড়িতে গেটটি রাখা আছে। সেখানে গিয়ে স্কুলের পুরাতন গেটটি পাওয়া যায়। পরে গেটটি ওই রাতেই আবার স্কুল চত্বরে পাওয়া যায়। তবে গেটটি কারা রেখে গেছে, তা জানা যায়নি।
অভিযোগকারী হুমায়ুন মৃধা জানান, ব্যবসায়ী ইছানূরের কাছে স্কুলের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক গেট নিয়ে জানতে চাইলে তিনি সব খুলে বলেন।
ওয়ার্কশপ ব্যবসায়ী ইছানূর বলেন, ‘গেটটি ম্যানেজিং কমিটির সদস্য কাজী মনির ও সহসভাপতি আনোয়ার হোসেন বাহিরচর পাড়ার রিপনের ভ্যানে করে নিয়ে এসে আমার কাছে বিক্রি করেন। গেটটি ব্যবহারের যোগ্য বলে আমি আমার বাড়িতে নিয়ে যাই।’
সব অভিযোগ অস্বীকার করে আনোয়ার শেখ বলেন, ‘স্কুলে নতুন গেট লাগানোর পর পুরাতন গেটটি অনেক দিন পড়ে ছিল। গত শুক্রবার কে বা কারা এটি সরিয়ে ফেলে। আমাকে যে অপবাদ দেয়া হচ্ছে, তা মোটেই সত্য নয়।’